Bullet Train: ভারতের বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কী অবস্থা? বড় খবর দিলেন রেলমন্ত্রী
Ashwini Vaishnaw: বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে বলেই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। ২০২১ সালের নভেম্বরে যে কাজ শুরু হয়েছিল, তা দ্রুত গতিতে চলছে। কাজ শুরুর প্রথম ৬ মাসেই এক কিলোমিটার ভায়াডাক্ট তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে ৫০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।
নয়াদিল্লি: মহরাষ্ট্রের মু্ম্বই থেকে গুজরাটের আহমেদাবাদ পর্যন্ত হবে ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন। উচ্চ গতিসম্পন্ন এই ট্রেন পরিষেবার জন্য গত কয়েক বছর ধরেই চলছে কাজ। এই পরিষেবা চালু হলে মুম্বই ও আহমেদাবাদের মধ্যে ইন্টিগ্রেটেড ইকোনমি তৈরি হবে বলে আশা সরকারের। কিন্তু এই বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ কতদূর এগিয়েছে? কোন পর্যায়ে তা রয়েছে? সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসে সে ব্যাপারে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
বুলে ট্রেন চালু হলে ওই এলাকার অর্থনীতিতে যে গতি আসবে সে প্রসঙ্গে রেলমন্ত্রী বলেছেন, “ইন্টিগ্রেটিং ইকোনমির দৃষ্টিকোণ থেকে বুলেট ট্রেন প্রকল্পকে দেখতে হবে। বুলেট ট্রেনের প্রথম করিডর হবে মু্ম্বই, ঠাণে, ভাপি, বরোদা, সুরত, আনন্দ এবং আহমেদাবাদে। এই সব জায়গার অর্থনীতি মিশে একটি অর্থনীতিতে পরিণত হবে। তাই আপনি সুরতে প্রাতরাশ সেরে মুম্বইয়ে আপনার সমস্ত কাজ সেরে রাতে আবার পরিবারের কাছে চলে আসতে পারবেন।”
বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে বলেই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। ২০২১ সালের নভেম্বরে যে কাজ শুরু হয়েছিল, তা দ্রুত গতিতে চলছে। কাজ শুরুর প্রথম ৬ মাসেই এক কিলোমিটার ভায়াডাক্ট তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালের এপ্রিলে ৫০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন করিডরে ৮টি নদীর উপর ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। তবে এই ট্রেনের ভাড়া বিমানের থেকে সস্তা হবে না দামী হবে, সে বিষয়টি খোলসা করেননি রেলমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, বুলেট তৈরি করতে ১.০৮ লক্ষ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভারতীয় রেল দেবে ১০ হাজার কোটি টাকা। গুজরাট এবং মহারাষ্ট্র ৫ হাজার কোটি টাকা করে দেবে বলে জানা গিয়েছে। বাকি টাকা ধার হিসাবে দিচ্ছে জাপান। এই ট্রেন পরিষেবা চালু হলে ভারতীয় রেল পরিবহণে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। কবে থেকে তা শুরু হয়, সে দিকেই নজর রয়েছে গোটা দেশবাসীর।