Rajasthan: বিনামূল্যে ফোন প্রকল্পের লোভ দেখিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ! মুখ পুড়ল গেহলট সরকারের
Rajasthan free phone promise: এই ঘটনার কথা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ব্যক্তিকে জল সরবরাহ বিভাগের প্রধান দরজার সামনে একটি খুঁটিতে বেঁধে মারধর করে। তবে তারপর তাকে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই সুযোগে পালিয়ে গিয়েছে অভিযুক্ত।
জয়পুর: রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। তার আগে রাজস্থানের অশোক গেহলট সরকারের পক্ষ থেকে মহিলাদের বিনামূল্যে মোবাইল ফোন দেওয়ার প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের যৌক্তিকতা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সরকারি এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার অছিলায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল রাজস্থানের এক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের ক্যাশিয়ার। বিনামূল্যে মোবাইল ফোন দেওয়ার অজুহাতে সে এক নাবালিকাকে একটি গাড়িতে তুলে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার কথা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর বিক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ব্যক্তিকে জল সরবরাহ বিভাগের প্রধান দরজার সামনে একটি খুঁটিতে বেঁধে মারধর করে। তবে তারপর তাকে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই সুযোগে পালিয়ে গিয়েছে অভিযুক্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের করাউলি জেলায়। কিশোরীর মা দিনমজুরের কাজ করেন, বাবা কর্মসূত্রে জয়পুরে থাকেন। সেই সময় তাদের বাড়িতে এসেছিল অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিক সুনীল কুমার জাঙ্গিদ। নির্যাতিতা মেয়েটিকে সে বলেছিল, রাজ্য সরকার বিনামূল্যে মোবাইল ফোন দিচ্ছে। সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের তালিকায় তার ফোন নম্বরও রয়েছে। সে আরও জানায়, ওই দিনই ফোনটি নিতে হবে। নাহলে, আর পাওয়া যাবে না। তারপর, ওই নাবালিকাকে তার গাড়িতে উঠতে বলে সুনীল। নাবালকা অবশ্য প্রথমে রাজি হয়নি। সে জানিয়েছিল, তাকে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তবে সুনীল জানান, পরে ফিরে এসে মায়ের সঙ্গে কথা বললেও হবে। এরপর সুনীল কুমার জাঙ্গিদ ওই নাবালিকাকে তার গাড়িতে করে তোদাভীম এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এরপর নির্যাতিতা মেয়েটিকে ইদগাহ যাওয়ার পথে ফেলে সে চলে যায়। কোনওরকমে বাড়ি ফিরে এসেছিল মেয়েটি। মাকে সে পুরো ঘটনাটা খুলে বলে। সন্ধ্যায় তার বাবা বাড়ি ফিরলে, বাবাকে সঙ্গে নিয়ে তোড়াভীম থানায় গিয়ে অভিযুক্ত সুনীলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে ১৭ বছরের মেয়েটি। নির্যাতিতা পুলিশকে জানায়, সে ধর্ষণে বাধা দিয়েছিল। চিৎকার করেছিল। কিন্তু, অভিযুক্ত সুনীল ছুরি দেখিয়ে তাকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেছিল। মাথায় ছুরি ঠেকিয়েই সে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সুনীল জাঙ্গিদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা বা পকসো আইনের প্রাসঙ্গিক ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্ত সুনীলের খোঁজে জায়গায় জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি, সরকারি পদ থেকেও বরখাস্ত করা হয়েছে সুনীল জাঙ্গিদকে।