Maharashtra Crisis: মহা-সংকটের মধ্যেই রাজ ঠাকরেকে নিয়ে জোর চর্চা! এমএনএস প্রধানের সমর্থন কি শিন্ডের দিকে?

Maharashtra: সেক্ষেত্রে বিজেপি এমন কোনও দলের সঙ্গে সরকার গড়তে চাইবে না, যার রাশ রাজ ঠাকরের মতো 'অনিশ্চিত নেতার' হাতে থাকবে।

Maharashtra Crisis: মহা-সংকটের মধ্যেই রাজ ঠাকরেকে নিয়ে জোর চর্চা! এমএনএস প্রধানের সমর্থন কি শিন্ডের দিকে?
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 27, 2022 | 12:27 PM

মুম্বই: যখন চরম রাজনৈতিক মহাসংকটে মহারাষ্ট্র, তখনই নাম ভেসে উঠছে আরও এক ঠাকরের। তিনি মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray)। রাজ আদতে ঠাকরে পরিবারেরই সদস্য, কিন্তু শিবসেনার রাশ উদ্ধবের হাতে চলে যাওয়ার পর, এক প্রকার সহ্য করতে না পেরে মহারাষ্ট্র নব নির্মাণ সেনা বা MNS তৈরি করেছিলেন রাজ। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক অলিন্দে এখন ভেসে উঠছে রাজ ঠাকরের নাম। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সিংহভাগ সেনা বিধায়কের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও এখনও অবধি কোন কঠোর পদক্ষেপের পথে হাঁটেনি একনাথ শিন্ডে শিবির। সেই কারণে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকে মনে করছেন, বিদ্রোহী সেনা বিধায়করা এমএনএসে যোগ দিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোটে যেতে পারেন। এমএনএস সূত্রে খবর, রাজ ঠাকরের সঙ্গে একনাথ শিন্ডের ফোনে কথা হয়েছে।

রাজ নিজেকে হিন্দুত্ববাদী বলে দাবিকে করেন। একাধিকবার ‘প্রকৃত উত্তরসূরি’ তিনিই। সেক্ষেত্রে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে শিন্ডের করা সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং যাবতীয় কার্যকলাপ আসলে রাজ ঠাকরেকেই সাহায্য করবে। এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরের মুখে একাধিকবার মোদীর প্রশংসা শোনা গেলেও রাজনৈতিক মহলে মনে করে রাজ ঠাকরে যে কোনও সময়ে অবস্থান থেকে সরে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে বিজেপি এমন কোনও দলের সঙ্গে সরকার গড়তে চাইবে না, যার রাশ রাজ ঠাকরের মতো ‘অনিশ্চিত নেতার’ হাতে থাকবে। সেক্ষেত্রে বিজেপি চাইবে হয় শিন্ডে নিজে নতুন কোনও দল তৈরি করুন অথবা বিদ্রোহী বিধায়কদের নিয়ে সরাসরি বিজেপিতে দিন।

তবে মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী সেনা বিধায়কদের নেতা একনাথ এখনও অবধি আগামী দিনের পদক্ষেপ সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই মূহূর্তে তিনি জল মাপছেন, সব দিক বিবেচনা করেই আগামী দিনে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অন্যদিকে রবিবার চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন যুবসেনা নেতা উদ্ধবপুত্র আদিত্য ঠাকরে। তিনি জানিয়েছেন, একমাস আগেই শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই সময় নাটক করে কেঁদে ভাসিয়েছিলেন তিনি, এখন সেই তিনি সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছন। মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।