Yashwant Sinha: রাইসিনার রেসে দৌড়তে মনোনয়ন জমা যশবন্ত সিনহার, সঙ্গে সঙ্গে একাধিক শীর্ষ বিরোধী নেতা
Presidential Election: শুক্রবার যশোবন্ত সিনহা জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে জিতে তিনি যদি দেশের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি হন তবে তিনি কৃষক, শ্রমিক, বেকার, যুবক এবং মহিলাদের জন্য কাজ করবেন।
নয়া দিল্লি: শিয়রে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন এনডিএ নির্বাচনের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দ্রৌপদী মুর্মু। সোমবার সর্বসম্মত বিরোধী জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। এদিন রাজ্যসভার মহাসচিব পিসি মোদীর কাছে ৪ সেট মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন যশবন্ত। এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, কংগ্রেস শীর্ষনেতা রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, জয়রাম রমেশ, তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব, ডিএমকে নেতা এ রাজা এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুখ আবদ্দুলা উপস্থিত ছিলেন। সোমবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল টিআরএস আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থী যশোবন্ত সিনহাকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার যশোবন্ত সিনহা জানিয়েছিলেন, নির্বাচনে জিতে তিনি যদি দেশের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি হন তবে তিনি কৃষক, শ্রমিক, বেকার, যুবক এবং মহিলাদের জন্য কাজ করবেন। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরতদের ওপর বাড়তি নজর দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। চলতি মাসের ২১ তারিখ এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের বাড়ির বৈঠক শেষে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে যশবন্ত সিনহার নাম ঘোষণা করেছিল শরদ পওয়ার। নাম ঘোষণা হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই ‘বৃহত্তর স্বার্থ’-র কথা বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন যশবন্ত।
তবে রাজনৈতির মহলের মতে, খুব বড় অঘটন না ঘটলে এবারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর জেতা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। দ্রৌপদী মুর্মু ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল ছিলেন। জুলাই মাসের ১৮ তারিখ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহার সঙ্গে দ্রৌপদীর লড়াই হবে। রাজনৈতিক মহলের মতে বিরোধী প্রার্থী ভোটে না জিতলে, সম্মিলিতভাবে যশবন্তকে বেছে নেওয়া ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। অনেকেই একে মোদী বিরোধী জোটের প্রথম পদক্ষেপ বলে মনে করছে। ভারতীয় রাজনীতির ওপর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কী প্রভাব পড়ে সেটাই এখন দেখার।