Satta Sammelan: আমাকে ধাক্কা মেরে সাইডে করে দেওয়া হত, এখন আমার এক কোটিরও বেশি ফলোয়ার: রামদেব
Satta Sammelan: আধ্যাত্মিক জীবনের শুরুর লগ্নে কীভাবে তাঁকে বিভিন্ন ঝড়-ঝাপ্টা সামলাতে হয়েছিল, আজ সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন বাবা রামদেব। তিনি বলেন, 'আমাকে লোকে ধাক্কা মেরে সাইডে করে দিত। এরকম একটা পরিস্থিতিতে আমি সেবা শুরু করি। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ১ কোটিরও বেশি মানুষ আমাকে ইউটিউবে ফলো করেন। ৮০০ কোটিরও বেশি সময় আমার ভিডিয়ো দেখা হয়েছে।'
নয়া দিল্লি: টিভি নাইন নেটওয়ার্কের হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডের মহামঞ্চে আজ তৃতীয় দিন। এই ফ্ল্যাগশিপ কনক্লেভে মঙ্গলবার ‘সত্তা সম্মেলনের’ মঞ্চ আলোকিত করতে উপস্থিত ছিলেন যোগগুরু বাবা রামদেব। নিজের জীবন-দর্শনের কথা আজ টিভি নাইনের এই মহাসমারোহে তুলে ধরেন তিনি। আধ্যাত্মিক জীবনের শুরুর লগ্নে কীভাবে তাঁকে বিভিন্ন ঝড়-ঝাপ্টা সামলাতে হয়েছিল, আজ সেই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন বাবা রামদেব। তিনি বলেন, ‘আমাকে লোকে ধাক্কা মেরে সাইডে করে দিত। এরকম একটা পরিস্থিতিতে আমি সেবা শুরু করি। এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ১ কোটিরও বেশি মানুষ আমাকে ইউটিউবে ফলো করেন। ৮০০ কোটিরও বেশি সময় আমার ভিডিয়ো দেখা হয়েছে।’
যোগগুরু বাবা রামদেব এদিন আরও শোনালেন, এখনও তিনি প্রতিদিন ১৮-২০ ঘণ্টা বিভিন্ন কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকেন দেশের সেবা করার জন্য। রোজ ভোর তিনটের সময় ঘুম থেকে ওঠেন। রাতে ঘুমোতে যান ১০ টা নাগাদ। এটাই তাঁর নিত্যদিনের অভ্যেস। সত্তা সম্মেলনের মঞ্চে আলোচনাসভায় যোগগুরু বাবা রামদেব বললেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন পাঁচটার সময় ঘুম থেকে উঠতাম। তারপর যখন গুরুকুলে গেলাম, ভোর চারটের সময় উঠতাম। এখন আমি ভোর তিনটের সময় উঠি ঘুম থেকে। আজও তিনটের সময় উঠেই এখানে এসেছি। রোজ রাত ১০টা পর্যন্ত কাজকর্ম করি। রোজ ১৮-২০ ঘণ্টা আমি কাজ করে যাই ভারত মায়ের সেবা করার জন্য।’
যোগগুরু বাবা রামদেব জানালেন, ভারত মায়ের সেবা করাই তিনি নিজের ধর্ম বলে মনে করেন। আর এই চিন্তাভাবনাই দেশের প্রত্যেক নাগরিকের মধ্যে দেখতে চান তিনি।