নির্বাচনী বন্ডের গোপন তথ্য প্রকাশে আরও সময় চাইল SBI
SBI electoral bonds: এই সকল তথ্য প্রদানের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আরও সময় চাইল এসবিআই। এসবিআই এদিন আদালতে জানিয়েছে, অনুদান যারা দিয়েছে, তাদের তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য কঠোর 'স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেস' মেনে চলা হয়। সেই সকল ডেটা ডিকোড করা এক জটিল প্রক্রিয়া। তাই, এর জন্য আরও সময় প্রয়োজন।
নয়া দিল্লি: গত মাসে এক যুগান্তকারী রায়ে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছিল এই প্রকল্প অসাংবিধানিক। রায় ঘোষণার সময়, শীর্ষ আদালত এসবিআই-কে বলেছিল, নির্বাচনী বন্ড সম্পর্কে সমস্ত প্রাসঙ্গিক তথ্য ৬ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে দিতে হবে। তবে, সোমবার এই সকল তথ্য প্রদানের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আরও সময় চাইল এসবিআই। এসবিআই এদিন আদালতে জানিয়েছে, অনুদান যারা দিয়েছে, তাদের তথ্য সুরক্ষিত রাখার জন্য কঠোর ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেস’ মেনে চলা হয়। সেই সকল ডেটা ডিকোড করা এক জটিল প্রক্রিয়া। তাই, এর জন্য আরও সময় প্রয়োজন। এদিন, সুপ্রিম কোর্টকে ভারতের নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী বন্ড সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করার সময়সীমা, ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করেছে শীর্ষ আদালতে।
২০১৯ সালের ১২ এপ্রিল অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের সময় থেকে ২০২৪-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখ পর্যন্ত নির্বাচনী বন্ড কিনে যারা রাজনৈতিক অনুদান দিয়েছেন, তাদের সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিল। এসবিআই জানিয়েছে, ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালে রায় ঘোষণার তারিখ পর্যন্ত, মোট ২২,২১৭টি নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে রায় ঘোষণার সময়, ইলেক্টোরাল বন্ড প্রকল্পকে বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, এই প্রকল্প নাগরিকদের তথ্য জানার অধিকার এবং বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প, রাজনৈতিক দলগুলিকে বেনামে তহবিল প্রদানের সুযোগ দিত। কিন্তু, আদালত জানিয়েছিল, কারা কোন দলকে অনুদান দিচ্ছে, সরকারের পক্ষে তা জানা সম্ভব ছিল। এর ফলে, সরকারি নীতি তৈরিতে কর্পোরেট সংস্থাগুলির হাত থাকতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল আদালত।
এরপরই, ১৫ দিনের মধ্যে যে ইলেক্টোরাল বন্ডগুলি ভাঙানো হয়নি, সেগুলি ব্যাঙ্কে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলিকে। ব্যাঙ্ককে বলা হয়েছিল, সেই অর্থ ক্রেতার অ্যাকাউন্টে ফেরত দিতে। ব্যাঙ্ককে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়, নতুন করে আর নির্বাচনী বন্ড প্রকাশ না করতে।