Spurious liquor consumption: বিহারে দু’দিনে বিষ মদের বলি ২৪, গুরুতর অসুস্থ আরও অনেকে
Bihar: বিষ মদ খেয়েই ওই ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনই কিছু মুখ খুলতে চাইছে না ওই দুই জেলার প্রশাসন।
পটনা: বিহারে বিগত দুই দিনে বিষ মদের বলি অন্তত ২৪ জন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে আরও অনেকে। বিষ মদ খেয়ে মৃত্যুর যে ঘটনাগুলি বিগত দু’দিনে প্রকাশ্যে এসেছে, তার সবগুলিই বিহারের দুই জেলা থেকে – গোপালগঞ্জ এবং পশ্চিম চম্পারণে। অথচ, বিহারে মদ তৈরি, বিক্রি ও মদ্যপান সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ রয়েছে।
এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার পশ্চিম চম্পারণের বেতিয়া সংলগ্ন তেলহুয়া গ্রামে বিষ মদ পান করে আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে গোপালগঞ্জ জেলাতেও গতকাল ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ওই একই কারণে। এই নিয়ে গোপালগঞ্জে বিষ মদ খেয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬।
যদিও বিষ মদ খেয়েই ওই ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিয়ে এখনই কিছু মুখ খুলতে চাইছে না ওই দুই জেলার প্রশাসন। উত্তর বিহারে শেষ দশ দিনে এই নিয়ে তিনটি বিষ মদ খাওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। বিহারের মন্ত্রী জনক রাম ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছেছেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি জানিয়েছেন, “বিষ মদ খেয়ে যে ব্যক্তিরা মারা গিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আমি আজ তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করি। এটি এনডিএ জোট সরকারকে কালিমালিপ্ত করার একটি চক্রান্ত বলে মনে করছি আমি।”
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, গত দুই দিনে জেলার মহম্মদপুর গ্রামে রহস্যজনকভাবে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতা না আসা পর্যন্ত তাদের মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনটি দল মামলাটি তদন্ত করছে।”
এদিকে স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকজনের দেহ তাদের পরিবার ইতিমধ্যেই দাহ করে দিয়েছে, স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বিষমদ খেয়ে যে চারজন হাসপাতালে ভর্তি ছিল, তাদের মধ্যে দুজনের চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বিষ মদ খেয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তিদের। স্থানীয় পুলিশ একটি মামলাও রুজু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, যাঁরা বিষ মদ খেয়েছে। আর এই বিষ মদ স্থানীয় কিছু ব্যক্তিই বিক্রি করে বলে অনুমান করছে পুলিশ। উল্লেখ্য যে ২০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই তফসিল জাতির।
পশ্চিম চম্পারনে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তারা তেলহুয়া গ্রামের ২, ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন বলে শনাক্ত করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় তাদের মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। পশ্চিম চম্পারনের পুলিশ সুপার উপেন্দ্র নাথ ভার্মা বলেছেন, মামলার তদন্ত চলছে এবং জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা তেলহুয়াতে ক্যাম্প করছেন।
গ্রামবাসীদের দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় তেলহুয়া গ্রামের চামারতলি এলাকায় নিহতরা সবাই মদ খেয়েছিল। “মদ খাওয়ার পরে, তাদের মধ্যে আটজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করেছিল এবং তাদের কাছের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আজ তাদের মৃত্যু হয়ে”। জানা গিয়েছে ওই এলাকায় আরও কিছু গ্রামবাসী মদ খেয়েছিল, তাদেরকে এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : Delhi: নিষেধ সত্ত্বেও বাজি ফাটিয়ে দিওয়ালি উদযাপন, দিল্লিতে বায়ু দূষণ চরমে