China’s eyes on Siliguri: চিনের নজরে শিলিগুড়ি, কোন পথে চলছে দখলের পরিকল্পনা?

China's eyes on Siliguri: পূর্বে রয়েছে নেপাল, পশ্চিমে বাংলাদেশ। মাঝখানে সরু জায়গা। ম্যাপ দেখলে একে অনেকটা মুরগির ঘাড়ের মতো দেখায়। তাই একে বলা হয় চিকেনস নেক। এই অংশকেই শিলিগুড়ি করিডরই বলা হয় মাঝেমাঝে। মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, চোপড়া, ইসলামপুরের কিছুটা অংশ রয়েছে এরমধ্যে।

Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2023 | 8:59 PM

কলকাতা: লাদাখ, অরুণাচল নয়, চিনের নজর এখন উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র শিলিগুড়ি। শিলিগুড়ির পূর্ব রয়েছে ভুটান, পশ্চিমে সিকিম, মাঝখানে চিনের চুম্বি উপত্যকা। এক্ষেত্রে ডোকালামের অবস্থানও তাৎপর্যপূর্ণ। তিন দেশের সংযোগস্থলে রয়েছে এই ডোকালাম। যেখানে ২০১৭ সালে চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়েছিল ভারত ও চিনের সেনা। তৈরি হয়েছিল যুদ্ধ পরিস্থিতি। ডোকালামেই সামরিক পরিকাঠামো তৈরিতে ভারতীয় সেনাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল লালফৌজ। ভারতীয় সেনা প্রতিবাদে জানাতে আগ্রাসনে যায়। চিন পালায় ল্য়াজ গুটিয়ে। এই জায়গার খুব কাছেই কিন্তু রয়েছে শিলিগুড়ি। উত্তরবঙ্গের সবথেকে বড় শহর এই শিলিগুড়ি। 

উত্তর পূর্ব ভারত থেকে দেশের অন্য যে কোনও অংশের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে শিলিগুড়িই হল গেটওয়ে। সূত্রের খবর, ড্রাগনের নজর এখন সেখানেই। ভারতীয় সেনাও সেটা বেশ ভাল করেই জানে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরাও এই জায়গার ভৌগলিক গুরুত্বের কথাও বারেবারে বলেন। সূত্রের খবর, চিন এখন আবার ভারতের প্রতিবেশী ভুটানকেও গিলে ফেলার ছক কষেছে। ধারেভারে ছোট দেশ, গরিব দেশ ভুটান বিশেষ বাধাও দিতে পারছে না। সূত্রের খবর, ভুটানের জমি দখল করে আস্তে আস্তে শিলিগুড়ির দিকে এগিয়ে আসতে চাইছে বেজিং। 

পূর্বে রয়েছে নেপাল, পশ্চিমে বাংলাদেশ। মাঝখানে সরু জায়গা। ম্যাপ দেখলে একে অনেকটা মুরগির ঘাড়ের মতো দেখায়। তাই একে বলা হয় চিকেনস নেক। এই অংশকেই শিলিগুড়ি করিডরই বলা হয় মাঝেমাঝে। মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি, চোপড়া, ইসলামপুরের কিছুটা অংশ রয়েছে এরমধ্যে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এই চিকেনস নেক বিচ্ছন্ন হয়ে গেলে হতে পারে বড় বিপদ। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে উত্তর-পূর্ব ভারত। উত্তরবঙ্গের চাকটি জেলারও একই অবস্থা হবে। তাই বিপদ বাড়াতেই শিলিগুড়ির দিকে এগিয়ে আসতে চাইছে লালফৌজ। মাঝে দেওয়ালের মতো দাঁড়িয়ে সার্বভৌম ভুটান। চুম্বি উপত্যকা পেরিয়ে সিকিম হয়ে শিলিগুড়ির দিকে আসাটা এতটাও সহজ নয়। কারণ এখানে পাহাড় খুবই দুর্গম। যাতায়াতের জন্য রয়েছে মাত্র পাঁচটি গিরিপথ। যেগুলি ভারতীয় সেনা যে কোনও সময়ই বন্ধ করে দিতে পারে। তবে রয়েছে বিকল্প পথ। ভুটান থেকে ডুয়ার্সের দিক দিয়ে শিলিগুড়ির দিকে আসা যেতে পারে। কিন্তু, ভারতের বন্ধু দেশ ভুটান কখনই লালফৌজকে তাদের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না বলেই আশা করছে নয়াদিল্লি।