Congress President Election: নির্বাচনে নেই গান্ধী পরিবার, গেহলট-থারুরের পর সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন এই ২ নেতাও
Congress President Election: কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন থেকে গান্ধী পরিবার সরে দাঁড়াতেই একের পর এক নেতার নাম প্রার্থী হিসাবে উঠে আসছে। সবার প্রথমেই উঠে এসেছিল কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নাম। পরেরদিনই জানা যায় দ্বিতীয় প্রার্থীর নাম। তিনি হলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা গান্ধী পরিবারের বিশ্বস্ত অশোক গেহলট।
নয়া দিল্লি: কে হবেন কংগ্রেসের পরবর্তী জাতীয় সভাপতি? তা বেছে নিতেই তুঙ্গে প্রস্তুতি। আগামী মাসেই রয়েছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। শনিবার থেকেই প্রার্থীরা জমা দিতে পারবেন মনোনয়ন পত্র। এবারের কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন বাকি সমস্ত নির্বাচনের থেকে বেশ অনেকটাই আলাদা। কারণ এবার নির্বাচনের অংশ হচ্ছেন না গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য। এতদিন দল সামলানোর দায়িত্বভার যাদের কাঁধে ছিল, তারা দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করাতেই অ-গান্ধী মুখদের মধ্যে হবে সভাপতি হওয়ার লড়াই। ইতিমধ্যেই শশী থারুর ও অশোক গেহলটের নাম প্রার্থী হিসাবে উঠে এসেছে। বুধবার মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংও প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এবার সামনে এল আরও দুই সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম। তারা আর কেউ নন, মধ্য প্রদেশের অপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি।
কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন থেকে গান্ধী পরিবার সরে দাঁড়াতেই একের পর এক নেতার নাম প্রার্থী হিসাবে উঠে আসছে। সবার প্রথমেই উঠে এসেছিল কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের নাম। চলতি সপ্তাহেই দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরই জানা যায়, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন শশী থারুর। পরেরদিনই জানা যায় দ্বিতীয় প্রার্থীর নাম। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা গান্ধী পরিবারের বিশ্বস্ত অশোক গেহলট। বুধবার এই প্রসঙ্গে মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমায় বাদ দিচ্ছেন কেন? সকলের অধিকার আছে নির্বাচনে লড়ার। ৩০ তারিখের বিকেলে সমস্ত উত্তর পেয়ে যাবেন আপনারা।”
এরপরই কংগ্রেস সূত্রে খবর, শুধু এই তিনজনই নন, আরও দুই কংগ্রেসের সদস্যও প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াতে আগ্রহী। এরমধ্যে একজন হলেন কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর সদস্য মণীশ তিওয়ারি। পাশাপাশি মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন। জানা গিয়েছে, প্রথমে প্রার্থী হওয়া নিয়ে দোনামোনা করছিলেন কমল নাথ। নিজের রাজ্য মধ্য প্রদেশেই তিনি বেশি নজর দিতে চান বলে জানিয়েছিলেন। তবে একের পর এক সতীর্থ নির্বাচনে অংশ নিতেই, তিনিও প্রার্থী হওয়ায় আগ্রহ দেখিয়েছেন।
আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। ফল প্রকাশ হবে আগামী ১৯ অক্টোবর। যারা নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী, তাদের আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে হবে। বিগত ২২ বছরে কখনও কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন গান্ধী পরিবারকে বাদ দিয়ে হয়নি, সভাপতি পদেও গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ বসেননি। একমাত্র ২০০০ সালে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে সনিয়া গান্ধীকে হারিয়ে সভাপতি হয়েছিলেন জিতেন্দ্র প্রসাদ।