Aryan Khan drug case: ‘একমাত্র আরিয়ানের কাছেই কোনও ড্রাগ পাওয়া যায়নি!’ জামিন মিলল না শাহরুখ-পুত্রের
Aryan Khan: দ্রুত শুনানি হোক, আদালতে এই আর্জিই জানান আইনজীবীরা।
মুম্বই: মাদক-কাণ্ডে (Drug Case) আপাতত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান (Aryan Khan)। তাঁর আইনজীবীরা বারবার জামিনের আর্জি জানিয়েছেন। আগামী বুধবার মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে আরিয়ানের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। সোমবার মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতের (Special Court) তরফে জানানো হয়েছে, মাদক কান্ডে আরিয়ান খানের জামিনের আবেদন শোনা হবে আগামী ১৩ অক্টোবর। এ দিকে এই মামলায় নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) তরফে জবাব দেওয়ার জন্য বুধবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন বিচারপতি ভিভি পাটিল (Justice VV Patil)।
সোমবার মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে আরিয়ান খানের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী অমিত দেশাই ও আইনজীবী সতীশ মানেশিন্ডে। এ দিন আদালতে দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে এনসিবির পক্ষে আইনজীবী এসপিপি এএম চিমালকার জানান, মামলার তদন্ত চলছে। প্রমাণ জোগাড় করা হচ্ছে। এক সপ্তাহ সময় চান তিনি।
আরিয়ানের আইনজীবী জানান, গত শনিবার থেকে হেফাজতে রয়েছেন আরিয়ান খান, অথচ শুধুমাত্র রবিবার এক বারের জন্য তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। আইনজীবীরা উল্লেখ করেন, এই মামলায় যাঁরা গ্রেফতার হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একমাত্র আরিয়ানের কাছ থেকেই কোনও ড্রাগ বা বেআইনি কোনও জিনিস পাওয়া যায়নি। সাতদিনের বদলে যাতে এনসিবি একদিন সময় নেয়, সেই আর্জি জানান আরিয়ানের আইনজীবী। অন্যদিকে এনসিবির তরফ থেকে বলা হয় জবাব দেওয়ার জন্য সাতদিন সময় দেওয়া প্রয়োজন।
আপাতত এনসিবির হেফাজতে নয় আরিয়ান সহ বাকি অভিযুক্তরা আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রয়েছেন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। জামিন পেলে প্রভাব খাটিয়ে আরিয়ান প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল এনসিবি। এনসিবি তরফে বলা হয়েছিল, এরা প্রভাবশালী ব্যক্তি। প্রমাণ নষ্ট করার একটা সুযোগ থাকতেই পারে। এই সময়ে জামিন তদন্তের কাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলে দাবি করে এনসিবি।
গত ৩ অক্টোবর একটি বিলাসবহুল গাড়িতে চেপে আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট, প্রতীক গাবা ও আরেকজন ব্যক্তি মিলে ওই প্রমোদতরীর রেভ পার্টির উদ্দেশে রওনা দেন। ওই গাড়ি চালকের আসনে ছিলেন রাজেশ মিশ্র। পরে ওই জাহাজেই অভিযান চালিয়ে আরিয়ান সহ বাকিদের আটক করে এনসিবি। গোয়ার কর্ডেলিয়ার ওই প্রমোদতরী থেকে মোট ১৮ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের অনেকের কাছ থেকেই মাদক পাওয়া গিয়েছিল বলে জানিয়েছিল এনসিবি।
একেবারে বলিউডি কায়দা সেই কর্ডেলিয়া ক্রুজে ওঠেন বেশ কয়েকজন এনসিবি কর্তা। তল্লাশি চালাতেই তাঁদের কাছে উঠে আসে একের পর এক মাদকের খোঁজ। কোকেন, এমডিএমএ, এক্সটেসি বাদ ছিল না কিছুই। এরপরই মাদক রাখার প্রমাণ পাওয়ায় আটজনকে আটক করা হয়। সেখানে ছিলেন শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ান খানও। গত শনিবার রাতে সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় কিং খানের পুত্রকে।
আরও পড়ুন: Weather Update: বাংলা থেকে পাততাড়ি গোটাচ্ছে বর্ষা, পুজোর রোদ ঝলমলে আকাশেও থাকছে বৃষ্টির ভ্রকূটি