Karnataka Hijab Ban Case: হিজাব মামলায় ভিন্নমত সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির, মামলা যাচ্ছে বৃহত্তর বেঞ্চে

Karnataka Hijab Ban Case: কর্নাটকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরার অনুমতি নিয়েই এই মামলার সূত্রপাত। কর্নাটক হাইকোর্টের রায় ছিল, ধর্মাচরণে হিজাব বাধ্যতামূলক নয়।

Karnataka Hijab Ban Case: হিজাব মামলায় ভিন্নমত সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির, মামলা যাচ্ছে বৃহত্তর বেঞ্চে
সুপ্রিম কোর্টে হিজাব মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 13, 2022 | 1:43 PM

নয়া দিল্লি : হিজাব মামলায় ভিন্নমত পোষণ করলেন দুই বিচারপতি। কর্নাটক হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যে মামলা হয়েছিল, বৃহস্পতিবার ছিল তারই রায়দান। ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি এ দিন দুই মত পোষণ করেছেন। বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার মতামত আলাদা হওয়ায় মামলা যাচ্ছে বৃহত্তর বেঞ্চে।

এই মামলার রায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করেছিল কর্নাটক হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সেই রায় বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত। কিন্তু বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া বলেন, ‘হিজাব পরা নিজের পছন্দের বিষয়।’ এবার এই মামলার শুনানি হবে তিন বিচারপতির বেঞ্চে। সেই বেঞ্চ সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তীতে ৯ বিচারপতি বেঞ্চে এই মামলা যাবে কিনা।

কী বললেন বিচারপতি ধুলিয়া?

বিচারপতির মতে, ধর্মাচরণ প্রত্যেকের নিজস্ব পছন্দের বিষয়। সংবিধানের ১৪ ও ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদের কথা উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত ভুল। তিনি বলেন, ‘ওই ছাত্রীদের পড়াশোনাটাই আমার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কি তাঁদের জীবনে আলো দেখাতে পারছি?’

কী বললেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা?

বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা বলেন, ‘আমার রায়ে ১১ টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। আমি আবেদন খারিজ করার প্রস্তাব দিচ্ছি।’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার পক্ষেই রায় দেন তিনি।

কী এই মামলা?

কর্নাটকের উদুপিতে একটি কলেজে পড়ুয়ারা হিজাব পরে গিয়েছিলেন। ক্লাসরুমে তাঁদের হিজাব পরে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হয়। এই ইস্যুতে প্রতিবাদ জানান অনেকেই। রাজ্যের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরে বিক্ষোভ দেখান বহু ছাত্রী। কর্নাটক ছাড়িয়ে দেশের একাধিক জায়গায় পৌঁছে যায় সেই বিতর্কের আঁচ। পরে কর্নাটক হাইকোর্টে মামলা হয়। কলেজে হিজাব পরার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ছাত্রীরা। দীর্ঘ শুনানির পর হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ইসলাম ধর্মে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক নয়। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে হিজাব পরা যাবে না। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পড়ুয়ারা।

কী ছিল কর্নাটক হাইকোর্টের রায়?

হিজাব মামলার রায়ে কর্নাটক হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ধর্মীয় রীতিতে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার নির্দেশই বহাল রাখে আদালত। রায়দানের আগেই কর্নাটকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, গেরুয়া শাল, স্কার্ফ বা হিজাব নিষিদ্ধ করার কথা বলেছিল হাইকোর্ট।