Supreme Court: ‘এই কাজ অসাংবিধানিক, আশ্রয়ের অধিকার বলে একটা কথা আছে’, বুলডোজার অভিযান নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট
Supreme Court: দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং প্রয়াগরাজ প্রশাসনকে। বুলডোজার অভিযানের তীব্র সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, এই কাজ 'অসাংবিধানিক' এবং 'অমানবিক'।

সোমবার সকালে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং প্রয়াগরাজ প্রশাসনকে। বুলডোজার অভিযানের তীব্র সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, এই কাজ ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘অমানবিক’। বিচারপতি এএস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চ এই বিষয়ে ক্ষতিপূরণের মামলার রায় দেওয়ার সময় বলে, “এটি আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়। ‘আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া’ এবং ‘আশ্রয়ের অধিকার’ বলে একটা কথা আছে।” ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মালিকদের ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এর আগে, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই এক আইনজীবী, এক অধ্যাপক এবং আরও কয়েকজনের বাড়ি ভেঙে ফেলার জন্যও উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তিরস্কার করেছিল আদালত। আইনজীবী জুলফিকার হায়দার, অধ্যাপক আলি আহমেদ এবং আরও তিনজন, যাদের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছিল, তাঁরা আদালতকে জানান, বুলডোজার চালানোর ঠিক এক রাত আগে তাঁদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
২০২৩ সালে মৃত্যু হয় গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের। মামলা চলাকালীন তাঁদের আইনজীবী আদালতকে জানান ভুলবশত তাঁদের বাড়িঘর যে জমিতে তৈরি হয়েছিল তা গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের বলে চিহ্নিত করেছিল।
যেভাবে ভাঙার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল তারও তীব্র সমালোচনা করে আদালত। বিচারপতি ওকা বলেন, “এই কাজ বন্ধ করতে হবে। এর ফলে অনেকে তাঁদের বাড়িঘর হারিয়েছে…” এরপরেই প্রতি ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন।
আদালত তার রায়ে বলে, “এই মামলাগুলি আমাদের বিবেককে নাড়া দেয়। আপিলকারীদের আবাসিক বাড়ি অত্যন্ত নির্বিচারে ভেঙে ফেলা হয়েছে।”
আদালত জানায় যাঁদের বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে তাঁদের নোটিশের জবাব দেওয়ার জন্য ‘সুযোগ’ দেওয়া হয়নি। আদালত বল, “কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষ করে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে মনে রাখতে হবে যে আশ্রয়ের অধিকারও ভারতের সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এভাবে ভাঙচুর চালানো উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অসংবেদনশীলতা প্রদর্শন করে।”
আদালত উত্তর প্রদেশের আম্বেদকর নগরে একটি ভাঙচুরের ভাইরাল ভিডিওর কথাও উল্লেখ করে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যায় বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি আর তার পাশে নিজের কয়েকটা বই আঁকড়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছে একটি মেয়ে। বিচারপতি ভূঁইয়া বলেন, “এই ধরণের দৃশ্য দেখে সবাই বিরক্ত।”





