Bilkis Bano case: জেলে যেতেই হবে, বিলকিস বানো মামলায় ধর্ষকদের ‘শেষ কথাও’ শুনল না সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে বিলকিস বানো মামলার ১১ জন ধর্ষককে মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার নেই সরকারের। সেই সঙ্গে ২১ জানুয়ারির মধ্যে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় দুই বিচারপতির বেঞ্চ। এই নির্দেশ আসার দিন কয়েক পর বানো মামলার দোষীরা ধাপে ধাপে আবেদন করে দেশের শীর্ষ আদালতে।
নয়াদিল্লি: বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় ১১ জন দোষীর আবেদন খারিজ করল দেশের শীর্ষ আদালত। ওই মামলার দোষীরা আত্মসমর্পণ করার জন্য আরও সময় চেয়ে আবেদন করেছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদনই খারিজ করেন বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চ। খুনি ও ধর্ষকদের আবেদনের ‘মেরিট’ না থাকাতেই তা খারিজ করে আদালত। এই আবেদন খারিজ হওয়ায় ২১ জানুয়ারির মধ্যে জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে ১১ দোষীকে।
২০০২ সালে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় একাধিক খুন এবং গণধর্ষণের অভিযোগে ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত হয়। তার পর তাঁদের যাবজ্জীবন জেলসাজাও হয়েছিল। কিন্তু জেলে ভাল আচরণের কথা বলে ১১ দোষীকে ২০২৩ সালে স্বাধীনতা দিবসের সময় মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। যা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। কিন্তু গুজরাট সরকারের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলার রায় এ বছর ৮ জানুয়ারি দেয় দেশের শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এক্তিয়ার বহির্ভূত ভাবে বিলকিস বানো মামলার ১১ জন ধর্ষককে মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার নেই সরকারের। সেই সঙ্গে ২১ জানুয়ারির মধ্যে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১১ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
এই নির্দেশ আসার দিন কয়েক পর বানো মামলার দোষীরা ধাপে ধাপে আবেদন করে দেশের শীর্ষ আদালতে। কেউ অসুস্থ, কারণ পরিবারের সমস্যা- বিভিন্ন কারণ তুলে ধরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। সেই সমস্ত আবেদনের মিলিতভাবে শুনানি হয়েছে আদালতে। তা খারিজ হওয়ায় জেলযাত্রা নিশ্চিত হল বিলকিস বানোর নির্যাতনকারীদের।