Suvendu Adhikari: সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের! শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতে
Suvendu Adhikari: বহাল থাকল রক্ষাকবচ। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য।
নয়া দিল্লি : সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি শুভেন্দু অধিকারীর। খারিজ হয়ে গেল রাজ্য সরকারের আবেদন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রক্ষাকবচ দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট, সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, তারা হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশে হস্তক্ষেপ করতে চায় না।
আগেই রাজ্যের করা লিভ পিটিশনে এই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য ফের এলপিএ করে একই আবেদন জানায়। সেই আবেদনও এবার খারিজ হয়ে গেল।
লিভ পিটিশনের পর আবার এলপিএ কেন?
একবার লিভ পিটিশনে আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পরও কেন এলপিএ করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। লিভ পিটিশনের ক্ষেত্রে সব সওয়াল জবাব শুনেই হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখার কথা বলেছিল শীর্ষ আদালত। তাই আর এলপিএ শোনার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেন বিচারপতি। ১৩ ডিসেম্বর রাজ্যে করা লিভ পিটিশনের ভিত্তিতে রায় নির্দেশ বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে গত ১৩ ডিসেম্বর এই মামলায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। গত ৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে শুভেন্দু অধিকারীরে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
১৩ ডিসেম্বরের নির্দেশ
নন্দীগ্রামের বিধায়কের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের বিভিন্ন থানায় মামলা হয়। তাঁর দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতেও মামলা হয় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। সেইসব মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা যাবে না বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপও করা যাবে না এখনই। নতুন কোনও এফআইআর হলেও তা জানাতে বলা হয়েছিল শুভেন্দুকে।
সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল রাজ্য। সেখানেও সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল থাকবে বলেই উল্লেখ করা হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালতেও বিচারপতিরা জানান, উচ্চ আদালতের রায়ের ওপরে তাঁরা কোনও হস্তক্ষেপ করবেন না। সব মিলিয়ে হাই কোর্টের রায়কেই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
হাইকোর্টের রক্ষাকবচ
গত সেপ্টেম্বরে শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী মামলা-সহ তিনটি মামলায় স্থগিতাদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। সেখানেও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর। সেই মামলার প্রায় তিন বছর পর গত জুলাই মাসে তদন্তের দাবি তুলে এফআইআর দায়ের করেন শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? সেই প্রশ্ন তুলে, সঠিক তদন্তের দাবিতে এফআইআর করেন নিহত দেহরক্ষীর স্ত্রী। অ্যাম্বুলেন্স পেতে অনেক দেরি হওয়ায় কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় শুভব্রতর। এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর স্ত্রী। তাঁর সন্দেহ, ইচ্ছাকৃতভাবে অ্যাম্বুলেন্স সেদিন দেরিতে এসেছিল? এফআইআর-এর বয়ানে সেই প্রশ্নই তোলেন সুপর্ণা।