Case of Agnipath: ‘আপনি বীর হতে পারেন, অগ্নিবীর নন’, আইনজীবীকে কেন এমন বললেন বিচারপতি?

Case of Agniveer: কেন্দ্রে তরফে সেনাবাহিনীতে নিয়োগের জন্য নয়া যোজনা কার্যকর করা হয়েছে। 'অগ্নিপথ' যোজনার বিরোধিতা করেছেন বিরোধীরা। সেই ইস্যুতেই মামলা চলছে আদালতে।

Case of Agnipath: 'আপনি বীর হতে পারেন, অগ্নিবীর নন', আইনজীবীকে কেন এমন বললেন বিচারপতি?
ফাইল ছবি Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2022 | 7:32 PM

নয়া দিল্লি : কেন্দ্রীয় সরকারি যোজনা অগ্নিপথ নিয়ে সরব হয়েছিলেন অনেকেই। দেশ জুড়ে প্রতিবাদ হয় ওই যোজনার বিরুদ্ধে। সেনাবাহিনীতে নিয়োগের এই অভিনব যোজনার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। সেই মামলাতেই এবার এক মজার মন্তব্য করলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত শুনানিতে বিচারপতি আইনজীবীকে বলেন, ‘হতে পারে আপনি বীর, তবে অগ্নিবীর নন।’

এ দিন আদালতে জনস্বার্থ মামলায় সওয়াল করছিলেন আইনজীবী শর্মা। তিনি এত গভীরে গিয়ে সওয়াল শুরু করেছিলেন, তাঁকে বিচারপতি বোঝাতে শুরু চান যে তিনি জনস্বার্থ মামলা করেছেন, তিনি নিজে ক্ষতিগ্রস্ত কেউ নন। এ কথা বোঝাতেই বিচারপতি আইনজীবীকে হাসতে হাসতে বলেন, ‘আপনি বীর, তবে অগ্নিবীর নন।’

বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে জনস্বার্থ মামলা করে থাকেন আইনজীবী এম এল শর্মা। NDTV-র মুখোমুখি হয়ে আইনজীবী জানান, তাঁর পরিশ্রমকে মান্যতা দিতেই এমন মন্তব্য করেছেন বিচারপতি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, তিনিই আইনজীবী হিসেবে প্রথম যিনি অগ্নিপথ স্কিমের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করেছেন। মোট তিনটি পৃথক জনস্বার্থ মামলা হয়েছে এই ইস্যুতে। আইনজীবী এম এল শর্মা ছাড়াও মামলা করেছেন জনস্বার্থ মামলা করেছেন আইনজীবী হর্ষ আজয় সিং ও আইনজীবী রবিন্দর সিং শেখাওয়াত। সবকটি মামলা এ দিন একসঙ্গে শোনেন বিচারপতি।

এ দিন অগ্নিপথ সংক্রান্ত সব জনস্বার্থ মামলা দিল্লি হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্য কান্ত, বিচারপতি এএস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চের তরফে কেরল, পঞ্জাব, হরিয়ানা, পাটনা ও উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টকেও বলা হয়েছে, যাতে এই সংক্রান্ত মামলা তাঁরা দিল্লি হাই কোর্টে স্থানান্তরিত করেন।

অগ্নিপথ যোজনাকে সংবিধানের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। সংসদের অনুমোদন ছাড়াই যোজনা কার্যকর করা হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেছিলেন আইনীজীবীরা। এই যোজনা কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ হয়েছে। বিক্ষোভও দেখিয়েছেন অনেকে। মূলত চার বছরের জন্য নিয়োগ করা হবে এই যোজনায়। সেখানেই আপত্তি জানিয়েছেন অনেকে।