Russian ship detained: কোচি বন্দরের কাছ আসতেই আটক রাশিয়ার জাহাজ, ‘কৈফিয়ত’ চাইল রুশ দূতাবাস
Russian ship detained: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বিশ্বের একটা বড় অংশের দেশ যেখানে আমেরিকার আহ্বানে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছিল সেখানে ভারত তার নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছিল। সেখানে এ ঘটনার জেরে দু-দেশের সম্পর্কে নতুন কোনও মোড় দেখতে পাওয়া যায় কিনা এখন সেটাই দেখার।
কোচি: সোমবারই নির্দেশ দিয়েছিল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। আর তারপরেই মঙ্গলবার কোচিতে আটক করা হল MV MAIA-I নামে একটি রাশিয়ান পণ্যবাহী জাহাজকে (Russian Cargo Ship)। আটক করেছে ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। যা নিয়েই চাপানউতর শুরু হয়েছে ভারত-রাশিয়ার তরফে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে রুশ দূতাবাসের তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে একটি এস্তোনিয়ান কোম্পানির কাছ থেকে ১.৮৭ কোটি টাকার তেল কিনেছিল জাহাজটি। কিন্তু শোধ হয়নি সেই টাকা।
সোমবার বিচারপতি সতীশ নিনান জাহাজটিকে আটক করার নির্দেশ দেন। এদিকে কোচির কারুভেলিপ্পাডির টিএক্স হ্যারির প্রথম কেরল হাইকোর্টে এ বিষয়ে মামলা দায়ের করেন।এস্তোনিয়ার তালিনে অবস্থিত বাঙ্কার পার্টনার OU-এর পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি হোল্ডার হিসাবেই এই মামলা দায়ের করেন তিনি। এদিকে জাহাজ আটকের পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রুশ দূতাবাস। কেন আটক করা হল তার ব্যাখাও চাওয়া হয়েছে ভারত সরকারের কাছে। প্রসঙ্গত, এই জাহাজে করে ভারতীয় সেনার জন্যই অস্ত্রশস্ত্র আসছিল বলে জানা যায়। কিন্তু, কোচি বন্দরের কাছে আসতেই পথ আটকায় নৌসেনা।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বিশ্বের একটা বড় অংশের দেশ যেখানে আমেরিকার আহ্বানে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছিল সেখানে ভারত তার নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছিল। এমনকী, যুদ্ধ থামাতে দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে বসার অনুরোধ জানালেও সরাসরি রাশিয়ার অগ্রাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা যায়নি দিল্লিকে। যা নিয়ে হাবেভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল ‘বন্ধু’ আমেরিকাও। কিন্তু, কূটনৈতিক অবস্থান থেকে সরে আসেনি ভারত। যা নিয়ে চাপানউতর শুরু হয়েছিল আন্তর্জাতিক মহলেও। এমতাবস্থায় পণ্যবাহী জাহাজ আটকের জেরে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন করে কোনও চির ধরে নাকি সুসম্পর্ক বজায় থাকে এখন সেটাই দেখার।