Manish Sisodia: জেলেই থাকছেন সিসোদিয়া, ৩৩৮ কোটির লেনদেনের কথা উল্লেখ করল সুপ্রিম কোর্ট
Manish Sisodia: আবগারি নীতির ক্ষেত্রেই মূলত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই অভিযোগই টলিয়ে দেয় দিল্লির শাসক দলকে। যে আবগারি নীতি তৈরি করেছিল দিল্লির আপ সরকার, তাতেই বড়সড় বেনিয়ম হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
নয়া দিল্লি: আরও একবার খারিজ হয়ে গেল দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আর্জি। আবগারি দুর্নীতি মামলায় বিগত প্রায় ৭ মাস ধরে জেলে রয়েছেন আম আদমি পার্টির এই নেতা। বারবার জামিনের আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির অভিযোগে সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। জামিনের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিসোদিয়া। সোমবার শীর্ষ আদালতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তবে দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিআই-কে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, তদন্তের গতি যদি শ্লথ হয়ে যায়, তাহলে পরবর্তীতে আবারও জামিনের আবেদন করতে পারবেন মণীশ সিসোদিয়া। আগেই ইডি-কে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন হবে। শুধুমাত্র ঘুষ নেওয়া হয়েছে, এমন অনুমানের ওপর ভিত্তি করে মামলা দাঁড় করানো সম্ভব নয়। জামিনের আর্জি খারিজ করার ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘অনেক আইনি প্রশ্নের উত্তর মেলেনি সম্পূর্ণভাবে। এছাড়া ৩৩৮ কোটির লেনদেনের বিষয়টিও মোটামুটিভাবে প্রমাণিত।’
আবগারি নীতির ক্ষেত্রেই মূলত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই অভিযোগই টলিয়ে দেয় দিল্লির শাসক দলকে। যে আবগারি নীতি তৈরি করেছিল দিল্লির আপ সরকার, তাতেই বড়সড় বেনিয়ম হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। আর সেই নীতির জন্যই আর্থিক সুবিধা পাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে। এরপরই গ্রেফতার হন তিনি। ইডি ও সিবিআই, উভয় সংস্থাই তাঁকে হেফাজতে নিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের আগে হাইকোর্টেও প্রাক্তন মন্ত্রী সিসোদিয়ার জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছিল আদালত। এছাড়া গত মে মাসে সুপ্রিম কোর্টেও আর্জি খারিজ হয়েছিল। সেই সময় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, একজন উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যথেষ্ট হাইপ্রোফাইল, প্রয়োজনে সাক্ষীদের প্রভাবিতও করতে পারেন তিনি।