Supreme Court: ‘ভাইয়া ইজ় ব্যাক’, জামিনে মুক্ত ধর্ষণের অভিযুক্তকে স্বাগত জানাতে পোস্টার! জোর ধমক সুপ্রিম কোর্টে

CJI N V Ramana: ব্যানারের বিষয়টি জানার পর বিচারপতি হিমা কোহলি প্রশ্ন করেন, "জামিনের পর কীসের উদযাপন করছেন? বলা হচ্ছে 'ভাইয়া ইজ় ব্যাক' লেখা একটা হোর্ডিং ছিল। এই হোর্ডিং কীসের জন্য?" অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে জানান, ভোটের সময় হোর্ডিংগুলি লাগানো হয়েছিল।

Supreme Court: 'ভাইয়া ইজ় ব্যাক', জামিনে মুক্ত ধর্ষণের অভিযুক্তকে স্বাগত জানাতে পোস্টার! জোর ধমক সুপ্রিম কোর্টে
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 12, 2022 | 12:24 AM

নয়া দিল্লি : ধর্ষণের অভিযুক্ত এক ব্যক্তি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। আর তাকে স্বাগত জানাতে রীতিমতো ব্যানার লাগানো হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, “ভাইয়া ইজ় ব্যাক”। জামিনে মুক্ত ধর্ষণে অভিযুক্তকে এভাবে ব্যানার লাগিয়ে স্বাগত জানানোর বিষয়টি নজর এড়ায়নি সুপ্রিম কোর্টেরও। ব্যানার লাগানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে শীর্ষ আদালত। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান, বিচারপতি কৃষ্ণা মুরারি এবং বিচারপতি হিমা কোহলির একটি বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছিল। সেখানে অভিযুক্তের জামিনে মুক্তি পাওয়ার পরে “ভাইয়া ইজ় ব্যাক” ব্যানারের কথা জানানো হয় বিচারপতিদের। অভিযুক্তের জামিন বাতিলের আবেদনের শুনানি চলছিল তিন বিচারপতির বেঞ্চে।

ব্যানারের বিষয়টি জানার পর বিচারপতি হিমা কোহলি প্রশ্ন করেন, “জামিনের পর কীসের উদযাপন করছেন? বলা হচ্ছে ‘ভাইয়া ইজ় ব্যাক’ লেখা একটা হোর্ডিং ছিল। এই হোর্ডিং কীসের জন্য?” অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতে জানান, ভোটের সময় হোর্ডিংগুলি লাগানো হয়েছিল। এরপর প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “একটা হোর্ডিং লেখা আছে, ভাইয়া ইজ় ব্যাক। এটা কী? কীসের জন্য আপনারা এই হোর্ডিং রেখেছেন?”

প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী জানান, “অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরে সম্ভবত হোর্ডিংটি লাগানো হয়েছিল। এরপর প্রধান বিচারপতি আইনজীবীকে সতর্ক করে বলেন, “আপনার ভাইয়াকে এই সপ্তাহে সাবধানে থাকতে বলুন।” আগামী সোমবার মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন প্রধান বিচারপতি। শুনানির সময়, আবেদনকারী নির্যাতিতার পক্ষের আইনজীবী জানান, অভিযুক্তের প্রভাবশালী পারিবারিক পটভূমি বিবেচনা না করেই মাত্র ৪৫ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের পরেই অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, এর আগে মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টে অভিযুক্তকে জামিনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এক আবেদনের শুনানি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। ঘটনায় অভিযুক্তকে ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (২) ধারা এবং ৫০৬ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। অভিযোগ, ধৃত ওই ব্যক্তি বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর ধরে নির্যাতিতার সঙ্গে বার বার যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিল। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, এটি এমন কোনও মামলা নয়, যাতে পুরো বিচার চলাকালীন অভিযুক্তকে হেফাজতে রাখতে যায়। হাইকোর্ট অভিযুক্তকে ২ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল।

হাইকোর্টে ওই অভিযুক্ত দাবি করেছিল, সে নির্দোষ এবং নির্যাতিতার সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক সম্মতিপূর্ণ ছিল। উভয় পক্ষই শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় লিপ্ত হওয়ার জন্য পারস্পরিকভাবে সম্মত হয়েছিল। অভিযুক্তর আইনজীবী আরও যুক্তি দিয়েছিল, অভিযোগকারী নির্যাতিতা একজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং তাঁর সমস্ত পরিণতি সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে। তিনি এবং তার বাবা মামলা করে অভিযুক্ত ও তার পরিবারের থেকে টাকা আদায় করতে চান বলেই দাবি করেছিল অভিযুক্তর আইনজীবী।

আরও পড়ুন : Kunal Ghosh: ‘দলবিরোধী মুখপাত্রের বহিষ্কার চাই’, তৃণমূলের ‘ফেসবুক যোদ্ধা’দের নিশানায় কুণাল