Tamil Nadu Governor: ‘অযোগ্য! রাজ্যপালকে এখনই সরান’, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি ডিএমকের

DMK: অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সরকার-রাজ্যপাল সংঘাতের একাধিক উদাহরণ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে লড়াই বিভিন্ন সময়ে সংবাদ শিরোনাম তৈরি করেছিল।

Tamil Nadu Governor: 'অযোগ্য! রাজ্যপালকে এখনই সরান', রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি ডিএমকের
ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2022 | 1:58 PM

চেন্নাই: একাধিক অবিজেপি শাসিত রাজ্যে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত বারবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) রাজ্যপাল আরএন রবির সঙ্গে সেরাজ্যের ডিএমকে শাসিত সরকারের সংঘাতও চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমনকী তামিলনাড়ুতেও রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে ওঠার ইঙ্গিত মিলেছে। সেরাজ্যের শাসক দল ডিএমকে আরএন রবিকে “রাজ্যের শান্তি শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য ক্ষতিকর” আখ্যা দিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখেছেন। ডিএমকের দাবি, তামিলনাড়ুর রাজ্যপালকে যত দ্রুত সম্ভব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত কারণ তিনি ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত সরকারকে মানুষের সেবা করার ক্ষেত্রে প্রতি পদে বাধার’ সৃষ্টি করছেন। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে ডিএমকের তরফে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যপাল সংবিধান ও আইনকে রক্ষা ও মেনে চলার যে শপথ নিয়েছিলেন, তা প্রতিপদে লঙ্ঘিত হচ্ছে। এমনকী বিধানসভাতে পাস হওয়া বিলও সই করার ক্ষেত্রে তিনি বিলম্ব করছেন।

রাজ্যপালের পদ থেকে আরএন রবিতে অপসারণের দাবি জানিয়ে, চিঠিতে ডিএমকে লিখেছে, “কেউ কেউ রাজ্যপালের মন্তব্যকে রাষ্ট্রদ্রোহীও মনে করতে পারেন কারণ নিজের বক্তব্য তিনি সরকারে প্রতি অসন্তোষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছে।” মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের দল রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে জানিয়েছে, রাজ্যপাল আরএন রবি সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের জন্য অনুপযোগী, সেই কারণে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত। যদিও রাজ্যপালের তরফে ডিএমকের এই মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই সমমনোভাবাপন্ন সাংসদ চিঠি লিখে রাজ্যপালকে সরানোর প্রস্তাব সমর্থন করার আবেদন জানিয়েছিল ডিএমকে।

অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সরকার-রাজ্যপাল সংঘাতের একাধিক উদাহরণ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারে লড়াই বিভিন্ন সময়ে সংবাদ শিরোনাম তৈরি করেছিল। পরবর্তীকালে জগদীপ ধনখড়কে উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য বেছে নেয় এনডিএ সরকার। অন্যদিকে বাম শাসিত কেরলেও রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান ও পিনারাই বিজয়ন সরকারের দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। জানা গিয়েছে, সরকারে পাস করা ২০ বিলে এখনও রাজ্যপাল সই করেননি। আইন অনুযায়ী রাজ্যপালকে নিয়োগ বা অপসারণের ক্ষমতা শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির হাতে রয়েছে। আইন অনুযায়ী বিধানসভায় পাস হওয়া কোনও বিল একবারের বেশি ফিরিয়ে দিতে পারেন না রাজ্যপাল। তামিলনাড়ুর সরকারের অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গুলিহেলনেই কাজ করেছেন রাজ্যপাল রবি। আগামী দিনে সেখানে সংঘাত পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।