Kerala Government vs Governor: বাংলার পথেই এবার কেরল? রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরাতে বড় সিদ্ধান্ত বিজয়ন সরকারের
Kerala Government vs Governor: কেরলের রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরানোর জন্য অধ্যাদেশ আনতে চলেছে কেরল সরকার। এই অধ্যাদেশ আনার জন্য ভোট দিয়েছে বিজয়নের ক্যাবিনেট।
তিরুবনন্তপুরম: পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে থাকাকালীন জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) বনাম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘ঠান্ডা লড়াই’ এর কথা রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে দেশেও ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর এই একই সমীকরণ দেখা গিয়েছে দক্ষিণের রাজ্য কেরলেও। সেখানে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের (Pinarayi Vijayan) সঙ্গে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের (Arif Mohammad Khan) সংঘাত এখন রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত। এই আবহে কেরলের রাজ্য়পাল আরিফ মহম্মদ খানকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরানোর জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল বিজয়ন সরকার। রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরানোর জন্য আনা হবে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স)।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের এক আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পিনারাই বিজয়নের ক্যাবিনেট এই অধ্যাদেশ আনার জন্য ভোট দিয়েছে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য পদে রাজ্যপালের জায়গায় কোনও অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদ কাউকে বসাতে চায় রাজ্য সরকার। কেরল সরকারের এই পদক্ষেপের বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দু। তবে এই অর্ডিন্যান্সে লাগবে রাজ্যপালের স্বাক্ষর। তবেই তা বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে। আর সেই রাজ্যপালের সঙ্গেই মোটেই সম্পর্ক ভাল যাচ্ছে না বিজয়নের। তবে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দু জানিয়েছেন, তিনি আশা করছেন রাজ্য সরকার এই অর্ডিন্যান্স আনলে রাজ্যপাল নিজের সাংবিধানিক দায়িত্ব মেনেই তাতে স্বাক্ষর করবেন।
প্রসঙ্গত, কেরলে সম্প্রতি রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদকে কেন্দ্র করেই। কিছুদিন আগেই কেরলের ৯ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্য়াগের দাবি জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তারপর থেকেই একাধিক ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত প্রকাশ্যে আসে। এবার রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পিনারাই মন্ত্রিসভার। প্রসঙ্গত,সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও আচার্য বিল পাশ করানো হয়েছিল। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে কোনও শিক্ষাবিদকে বসানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্যে সেই বিল এখনও আইনে পরিণত হয়নি।