School: ‘হাতের পলাটা পর্যন্ত খুলে রেখে আমাকে…’, ছেলেমেয়েকে ভর্তি করাতে গিয়ে যা শুনলেন মায়েরা… স্কুলের প্রধান শিক্ষকের আচরণ সামনে আসতেই বীতশ্রদ্ধ গ্রাম
School: এক অভিভাবক বলেন, "আমি ফুচকা বিক্রি করে সংসার চালাই, স্কুলে ভর্তির দেড় হাজার টাকা পাব কোথায়, স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন কথাই শোনেনি, বাধ্য হয়ে হাতের পলা বিক্রি করে স্কুলের ফি মেটাই"
পূর্ব মেদিনীপুর: ফুচকা বিক্রি করে সংসার চালান। চাল নুন কেনার গার্হস্থ্য অনুশাসনে সন্তানকে উচ্চশিক্ষা দেওয়া কার্যত বিলাসিতার সামিল। তবুও সরকারি স্কুলে পড়িয়ে কলেজে ভর্তির আশা ছিল মায়ের। কিন্তু সরকারি স্কুলে পড়াতে গিয়েই নিজের গয়না বন্দক রাখতে হল তাঁকে। সরকারি স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দিতে হচ্ছে দেড় হাজার টাকা। যা সরকারি নির্ধারিত ফি থেকে অনেক বেশি।এমনই অভিযোগ উঠেছে পাঁশকুড়ায় ব্র্যাডলি বার্ড হাই স্কুলের বিরুদ্ধে।
হাই স্কুলের ক্ষেত্রে শিক্ষা দফতরের বলা রয়েছে, ডেভেলপমেন্ট ফি বাবদ পড়ুয়াদের থেকে বছরে একবার সর্বোচ্চ ২৪০ টাকা নেওয়া যাবে। যদি কোন পড়ুয়া তা দিতে না পারে, তবে তা মুকুব করার কথাও বলা রয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়। সেই সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাঁশকুড়া বার্লি পার্ট হাইস্কুলের ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে মোটা টাকা নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকেরা।
এক অভিভাবক বলেন, “আমি ফুচকা বিক্রি করে সংসার চালাই, স্কুলে ভর্তির দেড় হাজার টাকা পাব কোথায়, স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন কথাই শোনেনি, বাধ্য হয়ে হাতের পলা বিক্রি করে স্কুলের ফি মেটাই”
পাশাপাশি আরেক অভিভাবক অভিযোগ করেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে, টাকার পাশাপাশি চার বস্তা সিমেন্টও চাওয়া হয়েছে।” টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। আরেক অভিভাবক বলেন, “আমাদের খাবারটাই জোটাতে হয় কোনওরকমে। কিন্তু আমাদের ওপরেই জোরজবরদস্তি করতে হয়। যেদিন ফর্ম আনতে গিয়েছিলাম ১১০০ টাকা চায়, আবার যেদিন ভর্তি করতে যাই, ১৫০০ টাকা চায়। এত টাকা কোথা থেকে পাব? আমি বললাম এত টাকা কেন লাগবে, বলল স্কুলের এদিক ওদিক সব ভেঙে পড়ছে, তাই সারাতে হবে। টাকা দিতে না পারলে, চার বস্তা সিমেন্ট দিন। ”
ঘটনাকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির বক্তব্য, এর আগে এই ধরনের রীতি ছিল না। স্কুলটির বোর্ড তৃণমূল পরিচালিত হওয়ায় বেআইনিভাবে টাকা তোলার একটি নতুন পন্থা শুরু করেছে বলে বিজেপির অভিযোগ।