KCR: দশমীতে জাতীয় দলের ঘোষণা করতে পারেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসি রাও
TRS: তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির জাতীয় স্তরে আত্মপ্রকাশের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তেলঙ্গানার প্রদেশ কংগ্রেস। তেলঙ্গানার বিজেপি এ নিয়ে কোনও কড়া প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
হায়দরাবাদ: দশেরার পুণ্য তিথিতে নিজের জাতীয় দলের নাম ঘোষণা করতে পারেন তেলঙ্গানার মুখ্য়মন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। নিজের দলের জাতীয় কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করতে পারেন তিনি। কেসিআর-এর দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির দলীয় বৈঠক বসবে ৫ অক্টোবর। দশেরার দিনে তেলঙ্গানা ভবনে ওই বৈঠকের পরই জাতীয় কর্মসূচির বিষয়টি ঘোষিত হতে পারে বলে সূত্রের খবর। আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে টিআরএস কী ভাবে অংশ নেবে তার রূপরেখাও স্পষ্ট করতে পারেন তিনি। জানা গিয়েছে, এর পর টিআরএসের এক প্রতিনিধি দল দিল্লি গিয়ে দলের নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন। আগামী ৯ অক্টোবর রবিবার দিল্লিতে একটি জনসভাও করতে পারেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর।
বিষয়টি নিয়ে টিআরএস নেতা শ্রীধর রেড্ডি বলেছেন, “সরকার চালানোর বিভিন্ন বিষয়ে এনডিএ সরকার ব্যর্থ। তাই দেশের জনগণ শক্তিশালী জাতীয় প্ল্যাটফর্ম চাইছে।” কেসিআর-এর নিজেকে জাতীয় রাজনীতিতে তুলে ধরার বিষয়ে তিনি বলেছেন, “গুজরাত মডেল পুরোপুরি ব্যর্থ। দেশ এখন বিকল্প চাইছে। অপেক্ষা করুন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর শীঘ্রই জাতীয় পার্টির ব্যাপারে ঘোষণা করবেন।”
তেলঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির জাতীয় স্তরে আত্মপ্রকাশের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তেলঙ্গানার প্রদেশ কংগ্রেস। এ নিয়ে তেলঙ্গানা পিসিসি ক্যাম্পেন কমিটি চেয়ারম্যান মধু গৌড সাক্ষী বলেছেন, “জাতীয় দল হওয়ার জন্য তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপ অর্থহীন। তিনি তেলঙ্গানার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। এখন দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে চাইছেন। দিল্লি লিকার দুর্নীতিতে নিজের পরিবারের লোকেদের আড়াল করতে এটা নজর ঘোরানোর কৌশল।” জাতীয় দল ঘোষণার ব্যাপারে রাজনৈতিক কৌশলের বিষয়ে ওই কংগ্রেস নেতা বলেছেন, “কেসিআর বিরোধীদের ভাগ করে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে চাইছেন। বিজেপিকে দেশ থেকে তাড়াতে একমাত্র বিকল্প হল কংগ্রেস। যদি বিজেপি মুক্ত ভারত গড়তে চান কেসিআর, তাহলে তিনি কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন। যদিও রাজ্যস্তরে টিআরএসের সঙ্গে কোনও জোট চায় না কংগ্রেস।”
তেলঙ্গানার বিজেপি এ নিয়ে কোনও কড়া প্রতিক্রিয়া দেয়নি। বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ ডক্টর লক্ষ্মণ বলেছেন, “গণতন্ত্রে যে কোনও রাজনৈতিক দলের জাতীয় স্তর বা রাজ্য স্তরে লড়াই করতে পারে। সেটা তাদের ব্যাপার।”