‘বাংলার আবেগ নিয়ে খেলবেন না,’ কংগ্রেসের ‘নেতাজি-শ্রদ্ধা’য় তীব্র সমালোচনা তৃণমূলের
Netaji Death Anniversary Tweet: ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট। অর্থাৎ, আজকের দিনে তাইওয়ানের তাইপেইতে বিমান দুর্ঘটনা হয়। সেই বিমানের সওয়ারি নেতাজির কি মৃত্যু হয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তর আজও অজানা। অথচ নেতাজির ‘মৃত্যুবার্ষিকী’ বলে টুইট করে বিতর্কে জড়াল বিজেপি ও কংগ্রেস।
দেশ: ফের নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে ঘিরে বাঁধল জোর বিতর্ক। এবার নেতাজির মৃত্যুবার্ষিকী বলে টুইট করে বিতর্ক উস্কে দিল বিজেপি (BJP) ও কংগ্রেস (Congress)। অন্যদিকে দুই দলকেই একই পংক্তিতে ফেলে আক্রমণ তৃণমূলের (TMC)। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের টুইট, “বাংলা তথা ভারতের আবেগ নিয়ে খেলবেন না। আগে নেতাজির মৃত্য রহস্য প্রতিষ্ঠা করুন। ফাইল প্রকাশ্যে আনুন।”
Strongly object to this tweet. This date of death is not proved. Both Congress and BJP govt didn’t try to find out the real facts regarding the last moments of Netaji. Don’t play with emotions of Bengal and India. First prove the death. Publish the classified files. https://t.co/FmjSoZ3oud
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 18, 2021
১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট। অর্থাৎ, আজকের দিনে তাইওয়ানের তাইপেইতে বিমান দুর্ঘটনা হয়। সেই বিমানের সওয়ারি নেতাজির কি মৃত্যু হয়েছিল? এই প্রশ্নের উত্তর আজও অজানা। অথচ নেতাজির ‘মৃত্যুবার্ষিকী’ বলে টুইট করে বিতর্কে জড়াল বিজেপি ও কংগ্রেস।
এদিন কংগ্রেসের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে লেখা হয়, “দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আজাদ হিন্দ ফৌজ মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। জাতীয়তাবাদের ধারনায় বিশ্বাসী, ভারত মাতার সন্তানরা নেতাজির নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতার জন্য সব কিছু ত্যাগ করে লড়াই করেছিলেন। ভারত মাতার প্রিয় পুত্র নেতাজিকে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাচ্ছে কংগ্রেস পরিবার।”
এদিকে এই টুইটের আগে অবশ্য বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইটে লেখেন, “নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই। নেতাজির সংগ্রাম, ত্যাগ ও দেশের প্রতি নিষ্ঠা সমস্ত তরুণদের অনুপ্রেরণা। জয় হিন্দ!” এছাড়া নেতাজির মৃত্যুবার্ষিকী এদিনই বলে টুইট করেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিংপুরী এবং অশ্বিনী বৈষ্ণব।
কেন্দ্রীয় সরকারের নেতা ও মন্ত্রী তথা দেশের প্রধান বিরোধী দলের এহেন গোটা দেশে আলোড়ন শুরু হয়। শুরু হয় হইচই। এর পর আসরে নামে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইওয়ানের তাইপেইতে বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু ওই বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়েছে কিনা তা নিয়ে কোনও প্রমাণ মেলেনি। তারপরও এই টুইট জোর বিতর্ক তৈরি করেছে।
বিজেপি ও কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করে এক টুইটে কুণাল ঘোষ লেখেন, “কঠোর বিরোধিতা করছি। এই দিনে মৃত্যুর কোনও প্রমাণ নেই। কংগ্রেস এবং বিজেপি কেউই নেতাজির শেষ অবস্থা খোঁজার চেষ্টা করেনি। ভারত এবং বাংলার আবেগ নিয়ে খেলবেন না। প্রথমে মৃত্যু নিশ্চিত করুন। ক্লাসিফায়েড ফাইল প্রকাশ্যে আনুন।” আরও পড়ুন: ‘রং কালো বলে রবীন্দ্রনাথকে কোলে নিতেন না মা’, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মন্তব্যে বিতর্ক