মন্ত্রীর হাত থেকে ‘স্টেটমেন্টে’র কাগজ টেনে ছিঁড়ে ফেললেন তৃণমূল সাংসদ, রাজ্যসভায় নাটক চরমে

পেগাসাস বিতর্কে আরও একবার উত্তাল হয়ে উঠল রাজ্যসভা। এ দিন ফের একবার মুলতুবি হয়ে গেল অধিবেশন।

মন্ত্রীর হাত থেকে 'স্টেটমেন্টে'র কাগজ টেনে ছিঁড়ে ফেললেন তৃণমূল সাংসদ, রাজ্যসভায় নাটক চরমে
বিক্ষোভে উত্তাল রাজ্যসভা
Follow Us:
| Updated on: Jul 22, 2021 | 4:33 PM

নয়া দিল্লি: গত কয়েকদিন ধরেই পেগাসাস বিতর্কে উত্তাল লোকসভা ও রাজ্যসভা। আজ ফের মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভা। আড়িপাতার অভিযোগ সহ একাধিক ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরা। এ দিন কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বিবৃতি দিতে উঠলে তাঁর হাত থেকে কাগজ ছিনিয়ে নেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। সেই কাগজ ছুঁড়ে ফেলে দেন। এরপরই পারদ চড়তে শুরু করে। এ দিন পেগাসাস ইস্যুতে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী বিবৃতি দিতে উঠলেই ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিরোধী দলের সাংসদরা।

এ দিন সকালে অধিবেশনের শুরু থেকেই বিরোধীদের বিক্ষোভে বারবার মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভা। পরে আড়িপাতা বিতর্ক নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে ওঠেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী সাংসদরা বিক্ষোভ দেখান। ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবাস বিরোধী সাংসদদের অনুরোধ করেন যাতে তাঁরা সংযত ব্যবহার করে। এরপর মন্ত্রী বক্তব্য শুরু করতেই তাঁর হাত থেকে কাজগ টেনে নিয়ে ছিঁড়ে উড়িয়ে দেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। বাধ্য হয়ে ওই বিবৃতির কাগজ টেবিলের ওপর রেখে দেন মন্ত্রী।

অশ্বিনী বৈষ্ণবের বক্তব্যের মাঝে এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী ও তৃণমূল শান্তনু সেনের মধ্যে প্রবল বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে মন্ত্রীর বিবৃতির কাগজ ছিঁড়ে ফেলায়, বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির সাংসদরা। পরে মার্শালরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী একটা বিবৃতি দিয়েছেন। তারপর প্রশ্ন করার অধিকার আছে। কিন্তু তার আগে এ কী ধরনের গুণ্ডাগিরি। এই ঘটনার প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ।’

এ দিকে পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার আইনজীবী এমএল শর্মা ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাসের মাধ্যমে দেশের নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে সাংবাদিক, শিল্পপতি সহ ৫০ হাজার নাগরিকের উপর নজরদারি করার বিষয়ে একটি তদন্তের দাবি জানিয়ে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন।

বাদল অধিবেশন শুরুর আগের রাতে, গত রবিবারই পেগাসাসের বিষয়টি সামনে আসে। প্যারিসের একটি স্বাধীন সংবাদমাধ্যম ফরবিডেন স্টোরিজ নজরদারি চালনোর গোটা ঘটনাটি সামনে আনে। এরপর একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয় যে, দুই মন্ত্রী, একাধিক বিরোধী নেতা, আইনজীবী, সাংবাদিক, বিশিষ্ট শিল্পপতি সহ প্রসিদ্ধ ৪০ জনের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে।