Abhishek Banerjee: অভিষেককে প্রাণে মারার চেষ্টা হয়, বিস্ফোরক অভিযোগ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের

TMC: তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, অভিষেক সাংবাদিক বৈঠক করার সময় বারবার হুইসেল বাজানো হয়। বিরক্ত হয়ে অভিষেক বেরিয়ে আসেন। এপ্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, "বিজেপির কত ভয়! একটা সাংবাদিক বৈঠকও সহ্য করতে পারে না।" এরপরই আরও এক ধাপ এগিয়ে প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, "অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল।"

Abhishek Banerjee: অভিষেককে প্রাণে মারার চেষ্টা হয়, বিস্ফোরক অভিযোগ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের
রাজঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2023 | 5:48 PM

নয়া দিল্লি: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল। রাজঘাট থেকে বেরিয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। তিনি বলেন, “অভিষেকের উপর যেভাবে হামলা চলানোর পদক্ষেপ করা হয়েছে সেটা লজ্জার বিষয়।” ‘বিজেপি সরকার তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে’ বলে আবার তোপ দেগেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূল নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণভাবে ধরনা-অবস্থান করছিলেন। সেই সময় দিল্লি পুলিশ বারবার হুইসেল বাজিয়েছে, এমনকি লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূল কর্মীদের তাড়া করেছেন বলেও অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের। যা নিয়ে রাজঘাটে অশান্তির পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দিল্লি পুলিশ অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপর রাজঘাটের বাইরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করার সময়ও বারবার হুইসেল বাজানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, অভিষেক সাংবাদিক বৈঠক করার সময় বারবার হুইসেল বাজানো হয়। বিরক্ত হয়ে অভিষেক বেরিয়ে আসেন। এপ্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, “বিজেপির কত ভয়! একটা সাংবাদিক বৈঠকও সহ্য করতে পারে না।” এরপরই আরও এক ধাপ এগিয়ে প্রবীণ সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল।”

এদিন দুপুর ১টা নাগাদ রাজঘাটে প্রবেশ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মহাত্মা গান্ধীর শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর ১টা ১০ মিনিট নাগাদ রাজভবন চত্বরে শান্তিপূর্ণভাবে ধরনায় বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের সকল সাংসদ ও কর্মীবৃন্দ। প্রত্যেকে নীরবে টাকা ফেরানোর দাবি জানিয়ে লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করেন। তারপরও দিল্লি পুলিশ তৃণমূলের অবস্থান তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তারপর সওয়া ২টো নাগাদ অবস্থান তোলার জন্য তৃণমূলকে ৫ মিনিট সময় বেঁধে দেওয়া হয়। তাঁরা না উঠলে বলপ্রয়োগ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিশের বিশাল বাহিনী ও ব়্যাফ। যদিও কোনওরকম গন্ডগোলে যাননি তৃণমূল নেতৃবৃন্দ। তাঁরা নির্ধারিত সময় মেনেই উঠে আসেন। কিন্তু, অবস্থানে থাকাকালীন দিল্লি পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা বারবার এসে তাঁদের তোলার চেষ্টা করে এবং কয়েকজন মহিলা তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে জওয়ানদের ধ্বস্তাধস্তি হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক।

যদিও রাজঘাট শ্রদ্ধা জানানোর স্থান, কোনও অবস্থান-বিক্ষোভ করার জায়গা এটা নয় বলে পাল্টা জানিয়েছে পুলিশ।