Meghalaya Congress: ‘চরম বিশ্বাসঘাতকতা’! মেঘালয়ে বিজেপির জোট সরকারকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থন কংগ্রেসের
Mukul Sangma: বিজেপির জোট সরকারকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের কথা বলে মেঘালয়ের আমজনতার সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করছে কংগ্রেস। এমনটাই জানিয়েছেন সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা।
শিলং: কংগ্রেস থেকে পাল্টা ধাক্কাটা যে এভাবে আসতে চলেছে, তা হয়ত ভাবতেও পারেনি তৃণমূল। মেঘালয়ে তৃণমূলের উত্থান ঠেকাতে বিজেপির জোট সরকারকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের এ হেন সিদ্ধান্ত ‘মহা বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে মনে করছে তৃণমূল শিবির। বিজেপির জোট সরকারকে ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের কথা বলে মেঘালয়ের আমজনতার সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা করছে কংগ্রেস। এমনটাই জানিয়েছেন সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা।
মুকুল সাংমার নেতৃত্বে ১৭ জন কংগ্রেস বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মেঘালয়ে কংগ্রেস বিধানসভার রাজনীতিতে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। শুক্রবার, কংগ্রেস বিধায়ক দলের একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের পর কংগ্রেস শিবিরের পাঁচজন বিধায়ক গিয়েছিলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার সঙ্গে দেখা করতে। তারপরেই এই ইস্যুভিত্তিক সমর্থনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা মেঘালয়ের ইনচার্জ মনীশ তেওয়ারি বলেন, “কংগ্রেস বিরোধী আসনেই থাকবে এবং বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করবে। তবে রাজ্যের উন্নয়নের ইস্যুতে সরকারকে সমর্থন করবে।”
কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তে ভীষণই বিরক্ত মুকুল সাংমা। বলেন, “এর থেকে এই সত্যিটাই প্রতিফলিত হয় যে মেঘালয়ে কংগ্রেস এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে… তারা এক বিভ্রান্তির শিকার।” তিনি আরও বলেন, “ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, যারা এনডিএর শরিক তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে এবং সরকারকে ইস্যু ভিত্তিক সমর্থন করে কংগ্রেস এমন একটি অবস্থান নিয়েছে যা বিরোধীদের কাছে একটি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।” কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো হতবাক দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। কংগ্রেসের পদক্ষেপকে ঠাট্টা করে টুইট করেছেন, “মেঘালয়ে কংগ্রেস এবং বিজেপি মিলে একই সরকার চালাচ্ছে?”
সূত্রের খবর, আগামী ২১ ডিসেম্বর মেঘালয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে অসমে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে এক রাত থেকে, তার পর মেঘালয়ের পথে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। এখনও অবধি যা সূচি রয়েছে, তাতে ২০ ডিসেম্বর দুপুরে অসমে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে থেকে ২১ ডিসেম্বর সকালে কামাখ্যা মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। এরপরই সড়কপথে মেঘালয়ে যাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মেঘালয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস তাদের সংগঠন বাড়াতে শুরু করেছে। মেঘালয়ের প্রধান বিরোধী দল হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল নেতৃত্ব মনে করছেন, মেঘালয়ে তাদের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সমস্ত বিষয় নিয়ে মেঘালয়ে তৃণমূলের যে নেতৃত্ব রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর।
মেঘালয় বিধানসভার যিনি বিরোধী দলনেতা তাঁর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাংবাদিকদের মুখোমুখিও হতে পারেন সেখানে। যেহেতু দল মেঘালয়ে বিস্তার করছে এবং উত্তর পূর্ব ভারত এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম পাখির চোখ, সে কারণেই এই মেঘালয় সফর বলে মনে করা হচ্ছে।