বিনা পরীক্ষাতেই পাশ প্রথম থেকে চতুর্থ ও ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ারা, ঘোষণা ত্রিপুরা সরকারের

স্কুল খুললেই পড়ুয়ারা একটি পরীক্ষা দেবে, যেখানে গত শিক্ষাবর্ষের মূল্যায়ন করা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ।

বিনা পরীক্ষাতেই পাশ প্রথম থেকে চতুর্থ ও ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ারা, ঘোষণা ত্রিপুরা সরকারের
পরীক্ষা ছাড়াই পাশ ত্রিপুরার প্রথম থেকে চতুর্থ ও ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ারা।
Follow Us:
| Updated on: May 20, 2021 | 3:09 PM

আগরতলা: করোনা সংক্রমণের জেরে বাতিল হয়ে গিয়েছে সমস্ত পরীক্ষা। তবে পড়ুয়াদের ভাগ্য যাতে অনিশ্চিত না হয়ে পড়ে, সেই কারণে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের বিনা পরীক্ষাতেই পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ত্রিপুরা সরকার।

এপ্রিল মাসেই বার্ষিক পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে স্কুল বন্ধ থাকায় পরীক্ষা বাতিল হয়ে যায়। এ দিকে, নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। একই সঙ্গে নতুন শিক্ষাবর্ষে উত্তীর্ণ করার পাশাপাশি ২৫ মে থেকে ৭ জুন অবধি গ্রীষ্মের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, “প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হচ্ছে। স্কুল খোলার পরে এই শ্রেণির পড়ুয়ারা একটি পরীক্ষায় বসবে, যেখানে তাঁদের আগের ক্লাসের মূল্যায়ন কতটা হয়েছে, তা যাচাই করে দেখা হবে।” একইসঙ্গে তিনি ঘোষণা করেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে নজর রেখে গ্রীষ্মের ছুটিও ২৫ মে থেকে বাড়িয়ে আগামী ৭ জুন অবধি করে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

তবে সংক্রমণ ও শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা বাধার মাঝেও সরকারের তরফে শিক্ষার মান যাচাই করে রাজ্যের মোট ২০টি স্কুলকে মডেল স্কুল হিসাবে ঘোষণা করা হল। এই বিষয়ে রতন লাল বলেন, “অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে রাজ্যের ২০টি সরারি স্কুলকে বিশেষ শ্রেণির স্কুল হিসাবে ঘোষণা করছি। এই স্কুলগুলি রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।”

উল্লেখ্য, বিগত ১৭ এপ্রিল থেকে করোনা সংক্রমণের জেরে ত্রিপুরার সমস্ত স্কুল বন্ধ রয়েছে। পড়ুয়াদের টিভির মাধ্যমেই শিক্ষা দেওয়ার জন্য সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে বন্দে ত্রিপুরা নামক একটি শিক্ষামূলক চ্যানেল খোলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারীর আখ্যা কেন্দ্রের, চলবে রাজ্যভিত্তিক নজরদারি