Punjab Congress: একের পর এক ধাক্কা পঞ্জাব কংগ্রেসে, দায়িত্ব ছাড়লেন সিধু-ঘনিষ্ঠ দুই নেতা
Navjot Singh Sidhu: যেভাবে একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে পঞ্জাব কংগ্রেস, তাতে এখন অনেকটাই বেসামাল তারা। বিশেষ করে একদিনের মধ্যে এতগুলি ঘটনা পরপর ঘটে যাওয়া নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন কংগ্রেস হাইকমান্ডও।
চণ্ডীগঢ়: পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদে ইস্তফা দিয়েছেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। আর তারপর পঞ্জাবে সিধু ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দুই নেতাও পদ ছেড়ে দিয়েছেন। পঞ্জাবের মন্ত্রিসভার সদস্য রাজ়িয়া সুলতানা নিজের মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। রাজ়িয়ার বক্তব্য, নভজ্যোতের মতো মানুষ হয় না। তিনি অত্যন্ত নীতিবান। পঞ্জাবের জন্য লড়াই করে এসেছেন। আর সেই কারণেই নভজ্যোতের পাশে দাঁড়াতে মন্ত্রিত্ব ছাড়েন রাজ়িয়া।
রাজ়িয়া এই চমক দেওয়ার ঘণ্টা খানেক যেতে না যেতেই ফের চমক। যোগীন্দর পাল ধিংরাও বেঁকে বসেন। পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দেন ধিংরা। তাঁরও বক্তব্য একই। সিধুর পাশে দাঁড়াতেই তাঁর পদত্যাগ।
যেভাবে একের পর এক ধাক্কা খাচ্ছে পঞ্জাব কংগ্রেস, তাতে এখন অনেকটাই বেসামাল তারা। বিশেষ করে একদিনের মধ্যে এতগুলি ঘটনা পরপর ঘটে যাওয়া নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন কংগ্রেস হাইকমান্ডও।
প্রথমে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা। তারপর চরণজিৎ সিং চনিকে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। কানাঘুষো শোনা যায়, চরণজিৎ সিংকে মুখ্যমন্ত্রী করা নাকি মন থেকে মেনে নিতে পারেননি নভজ্যোৎ। আর এরপর আজ সকালে দলের রাজ্য কমিটির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। আর তারপর মন্ত্রিসভা থেকে রাজ়িয়া সুলতানার ইস্তফা এবং পঞ্জাব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ধিংরার ইস্তফা। সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না পঞ্জাব কংগ্রেসের।
যদিও দলীয় সূত্রে খবর, সিধুর পদত্যাগপত্র এখনও পর্যন্ত গৃহীত হয়নি। সূত্র বলছে, হাইকমান্ড রাজ্য নেতৃত্বকে বিষয়টি প্রথমে তাদের নিজেদের মধ্যে সমাধান করতে বলেছে।
কংগ্রেসের অন্দরে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, অমরিন্দর সিংয়ের ইস্তফার পর নতুন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংয়ের সঙ্গেও খুব একটা বনিবনা হচ্ছিল না দলের রাজ্য সভাপতির। সেই কারণেই কি পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি পদে ইস্তফা দিলেন নভজ্যোৎ? এই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করে দিয়েছে পঞ্জাবের রাজনীতির অলিন্দে।
আজ দলের প্রদেশ সভাপতির পদে ইস্তফাপত্রে নভজ্যোৎ সিং সিধু লিখেছেন, “আমি পঞ্জাবের ভবিষ্যৎ এবং পঞ্জাবের উন্নয়নের সঙ্গে কোনওদিন আপস করতে পারব না। আর সেই কারণেই আমি পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি পদে ইস্তফা দিচ্ছি। আগামী দিনে আমি কংগ্রেসের হয়ে একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যাব।”
উল্লেখ্য, অমরিন্দর সিংয়ের পদত্যাগের পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল, নভজ্যোৎই পঞ্জাবের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু তাঁকে না করে, নতুন মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে চিরৎজিৎ সিং চান্নি। এরপর নতুন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও নাকি খুব একটা বনিবনা হচ্ছিল না পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির। পঞ্জাব কংগ্রেসের অন্দরমহলে কান পাতলেই এমন সব গুজব শোনা যাচ্ছিল। আর এরই মধ্যে নিজের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন নভজ্যোৎ সিং সিধু।