Maharashtra Floor Test: উদ্ধবের আবেদন খারিজ, সুপ্রিম নির্দেশে কালই মহারাষ্ট্রে আস্থাভোট

সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেলেন উদ্ধব ঠাকরে। আস্থাভোটে স্থগিতাদেশ জারি করল না বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং জেবি পর্দিওয়ালার বেঞ্চ। ফলে, বৃহস্পতিবারই মহারাষ্ট্র বিধানসভায় হতে চলেছে আস্থা ভোট।

Maharashtra Floor Test: উদ্ধবের আবেদন খারিজ, সুপ্রিম নির্দেশে কালই মহারাষ্ট্রে আস্থাভোট
উদ্ধব ঠাকরে
Follow Us:
| Updated on: Jun 30, 2022 | 12:34 AM

নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেলেন উদ্ধব ঠাকরে। আস্থাভোটে স্থগিতাদেশ জারি করল না বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং জেবি পর্দিওয়ালার বেঞ্চ। ফলে, বৃহস্পতিবারই মহারাষ্ট্র বিধানসভায় হতে চলেছে আস্থা ভোট। মহা বিকাশ আগাড়ি সরকারকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের ভগৎ সিং কোশিয়ারি। সেই নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন শিবসেনার চিফ হুইপ সুনীল প্রভু। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ করে দিল আদালত।

বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং জেবি পর্দিওয়ালার বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘আমরা মনে করি না আস্থাভোট নিষ্ফলা হবে। যদি পরে দেখা যায় যে বিদ্রোহী বিধায়কদের ভোটদানের অধিকার ছিল না, তাহলে আমরা আস্থাভোটের ফল বাতিল করে দিতে পারি। এটা কোনও অপরিবর্তনশীল পরিস্থিতি নয়।’ এদিন আদালতে উদ্ধব শিবিরের পক্ষে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, বিদ্রোহী বিধায়কদের দলত্যাগ বিরোধী আইনের অধীনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। বিষয়টি বিচারাধীন রয়েছে। অযোগ্য বিধায়করা জনগণের প্রতিনিধি নন। তাই, তাঁদের অযোগ্যতার বিষয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আস্থা ভোট করা যাবে না।

অপরদিকে, বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডের পক্ষে আদালতে ছিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী নীরজ কিষাণ কওল। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, ডেপুটি স্পিকারেরই অপসারণের প্রস্তাবের বিষয়টিও বিচারাধীন। এই অবস্থায় বিদ্রোহী বিধায়কদের অযোগ্য বলে ঘোষণা করার তাঁর কোনও অধিকার নেই। তিনি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র অযোগ্যতার প্রক্রিয়ার মুলতুবি থাকাটা, আস্থাভোটকে স্থগিত রাখার কারণ হতে পারে না। অযোগ্য ঘোষণার প্রক্রিয়া এবং আস্থা ভোট দুটি স্বতন্ত্র ক্ষেত্র।’

তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিন আদালতে নীরজ কিষাণ কওল দাবি করেন, শিবসেনার ৫৫ জন বিধায়কের মধ্যে ৩৯ জন বিদ্রোহী গোষ্ঠীতে রয়েছেন। ৯ জন নির্দল বিধায়কও তাঁদের সমর্থন করছেন। এর মধ্যে মাত্র ১৬ জনকে অযোগ্য ঘোষণা করার নোটিস দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে মুখ্যমন্ত্রীর এই অনীহা প্রমাণ করছে যে, বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন তাঁর পক্ষে নেই। ১৪ জনের একটি হতাশ সংখ্যালঘু অংশ এই আস্থা ভোটের বিরোধিতা করছে।’ শিন্ডে শিবিরের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, মন্ত্রীদের সহায়তা ছাড়াই আস্থা ভোটের নির্দেশ দিতে পারেন রাজ্যপাল। কাজেই, আবেদনকারীরা মন্ত্রী পরিষদের সাহায্য ও পরামর্শ ছাড়াই রাজ্যপাল কাজ করছেন বলে যে যুক্তি দিয়েছেন, তা প্রাসঙ্গিক নয়।

অন্যদিকে, এদিন সুপ্রিম কোর্টে মহারাষ্ট্রের দুই জেলবন্দী বিধায়ক নবাব মালিক এবং অনিল দেশমুখ আস্থা ভোটে অংশ নিতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আদালত তাঁদেরকে সেই অনুমতি দিয়েছে। দুটি ভিন্ন তহবিল তছরুপের মামলায় দুজনেই আপাতত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং জেবি পর্দিওয়ালার বেঞ্চ ইডি এবং সিবিআই-কে তাঁদের বিধানসভায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ভোটদান হয়ে গেলে, তাঁদের আবার বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ফিরিয়ে আনা হবে।