পরীক্ষার ‘কলঙ্ক’ ঘোচাতে কেন্দ্রের বড় পদক্ষেপ, জালিয়াতি রুখতে কী কাজ করবে কমিটি, বোঝালেন শিক্ষামন্ত্রী
Dharmendra Pradhan: নিট পরীক্ষার ফল প্রকশের পরই ওঠে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ। দেশজুড়ে নিট বিতর্কের মাঝেই ইউজিসি-নেট পরীক্ষা নিয়েও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ। রাতারাতি বাতিল হয়ে যায় নেট পরীক্ষা। এরপর সিএসআইএর-নেট, নিট-পিজি পরীক্ষাও আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।
নয়া দিল্লি: প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ। বাতিল হচ্ছে একের পর এক পরীক্ষা। নিট-নেট বিতর্ক নিয়ে জর্জরিত শিক্ষা মহল। এই দুর্নীতি-জালিয়াতি রুখতেই এবার কড়া শিক্ষা মন্ত্রক। স্বচ্ছ ও সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা প্রক্রিয়া পরিচালন করতেই কেন্দ্রের তরফে তৈরি করা হল উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও জানালেন, “স্বচ্ছ, জালিয়াতি মুক্ত ও ত্রুটিমুক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা আমাদের অঙ্গীকার।”
নিট পরীক্ষার ফল প্রকশের পরই ওঠে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ। দেশজুড়ে নিট বিতর্কের মাঝেই ইউজিসি-নেট পরীক্ষা নিয়েও প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ। রাতারাতি বাতিল হয়ে যায় নেট পরীক্ষা। এরপর সিএসআইএর-নেট, নিট-পিজি পরীক্ষাও আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।
Transparent, tamper-free and zero-error examinations is a commitment.
Setting up of the high-level committee of experts is the first of a series of step to improve efficiency of the examination process, put an end to all possible malpractices, strengthen data security protocols… https://t.co/LDUe4udfXY
— Dharmendra Pradhan (@dpradhanbjp) June 22, 2024
পরীক্ষা নিয়ে যখন এত দুর্নীতি, বেনিয়মের অভিযোগ, সেই সময়েই কেন্দ্রের তরফে সুষ্ঠভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। পরীক্ষা পদ্ধতিতে কী কী সংস্কার, পরিবর্তনের প্রয়োজন, তাই-ই সুপারিশ করবে এই ৭ সদস্যের কমিটি। এর নেতৃত্বে রয়েছেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ডঃ কে রাধাকৃষ্ণন। এছাড়াও দিল্লি এইমসের প্রাক্তন ডিরেক্টর চিকিৎসক রণদীপ গুলেরিয়া, আইআইটি দিল্লি ও আইআইটি মাদ্রাজের অধ্যাপকরাও এই কমিটির সদস্য।
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এই কমিটি গঠন নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে বলেন, “স্বচ্ছ, জালিয়াতি মুক্ত ও ত্রুটিমুক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা আমাদের অঙ্গীকার। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন এরই প্রথম ধাপ। সমস্ত বেনিয়ম, অনৈতিক কাজ রুখতে, ডেটা সিকিউরিটিকে আরও মজবুত করতে এবং এনটিএ-তে পরিবর্তন আনাই লক্ষ্য। পড়ুয়াদের আগ্রহ ও তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করা আমাদের সরকারের সর্বোত্তম প্রাধান্য।”