Govt Curbs Rice Export: পাতে কম পড়তে পারে ভাত! খাদ্য সঙ্কট এড়াতে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

Govt Curbs Rice Export: গমের ক্ষেত্রে ভারত অন্যতম রফতানিকারক না হলেও, ধান ও চালের ক্ষেত্রে চিত্রটা ঠিক উল্টো। বিশ্বের চালের চাহিদার একটি বড় অংশই পূরণ করে ভারত, চিনের মতো দেশ।

Govt Curbs Rice Export: পাতে কম পড়তে পারে ভাত! খাদ্য সঙ্কট এড়াতে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2022 | 7:11 AM

নয়া দিল্লি: ‘বাসুদেবা কুটুম্বকম’-র মন্ত্রে বিশ্বাসী হলেও, দেশের জনগণের পেট ভরানো নিয়েই আগে চিন্তিত ভারত। চলতি বছরে তুলনামূলকভাবে ধান, গমের উৎপাদন কম হওয়ায়, দেশবাসীর পেট ভরাতে বিদেশে চাল রফতানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবারই কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে খরিফ ফসল উৎপাদন এবার কম হয়েছে, সেই কারণেই জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইন মেনে দেশে ধানের জোগান বজায় রাখতে আপাতত চলতি মরশুমের জন্য চাল রফতানি বন্ধ রাখা হচ্ছে।

খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, মূলত সাদা ভাঙা চাল রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে প্রিমিয়াম বাসমতি সহ অন্যান্য চালের রফতানিতে কোনও রাশ টানা হয়নি বলেই সূত্রের খবর। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, এবার উৎপাদন কম হওয়ায়, চালের দামও বাড়তে পারে বলে অনুমান বাজার বিশেষজ্ঞদের।

এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল মহল সূত্রে জানানো হয়েছে, চলতি বছরে এমনিতেই গমের উৎপাদন কম হয়েছে। এর উপরে চলতি বর্ষার মরশুমে বিগত বছরগুলির তুলনায় বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় খরিফ ফসল উৎপাদনেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তর প্রদেশ সহ যে রাজ্যগুলিতে ধান সবথেকে বেশি উৎপাদন হয়, সেখানে এবার প্রায় ধানের উৎপাদন ৭.৬ শতাংশ কম হয়েছে। গত বছরই যেখানে এই সময়ে ৩.৯ কোটি হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছিল, সেখানে এবার ৩.৬ কোটি হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

এবারে বর্ষা প্রায় নির্দিষ্ট সময়েই প্রবেশ করলেও, বেশ কিছু রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা গিয়েছে। উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টিপাতে ঘাটতির পরিমাণ যথাক্রমে ৪৫ শতাংশ, ৪১ শতাংশ, ২৭ শতাংশ ও ২৬ শতাংশ। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হওয়ার কারণেই চাষে প্রভাব পড়েছে। কারণ দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ ফসল চাষের জন্যই কৃষকেরা বৃষ্টির জলের উপরে নির্ভরশীল। পর্যাপ্ত জলের জোগান না থাকার কারণেই এবার অনেক কৃষক ধানের বদলে অন্য চাষ করেছেন। সেই কারণেও ফসলের জোগানে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

গমের ক্ষেত্রে ভারত অন্যতম রফতানিকারক না হলেও, ধান ও চালের ক্ষেত্রে চিত্রটা ঠিক উল্টো। বিশ্বের চালের চাহিদার একটি বড় অংশই পূরণ করে ভারত, চিনের মতো দেশ। প্রতিবেশী দেশ চিনেও এবার খরা দেখা দেওয়ায় ধানের উৎপাদনে প্রভাবিত হয়েছে। ফলে বিশ্ববাজারেও চালের চাহিদা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। এই সময়ে রফতানির বাজার দখল করার সুযোগ থাকলেও  দেশবাসীর পেট ভরাতেই এই মুহূর্তে প্রতিযোগিতা থেকে ভারত সরে আসছে।

১ অগস্টের তথ্য অনুযায়ী, ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার কাছে ৪.১ কোটি টন ধান ও চাল মজুত রয়েছে। চলতি মরশুমে চালের চাহিদা ১.৩৫ কোটি টন, ফলে এই মুহূর্তেই খাদ্য সঙ্কট দেখা দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে সুরক্ষাবশতই কেন্দ্রের তরফে আপাতত সাদা, ভাঙা চাল রফতানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র এই চাল রফতানি বন্ধ রাখলেই দেশের খাদ্য সঙ্কট এড়ানো সম্ভব বলে জানিয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।