Jharkhand Crisis: কপালে নেই চিন্তার ভাঁজ, ডামাডোলের মাঝেই বিধায়কদের সঙ্গে জলবিহারেই ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী!

Jharkhand Crisis: বিধায়কদের নিয়ে খুঁটিতে যাওয়ার আগেই দফায় দফায় দলের বিধায়ক, নেতাদের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সূত্রের খবর, ৪৩ জন বিধায়ককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Jharkhand Crisis: কপালে নেই চিন্তার ভাঁজ, ডামাডোলের মাঝেই বিধায়কদের সঙ্গে জলবিহারেই ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী!
বিধায়কদের সঙ্গে বোটে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। ছবি:PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2022 | 7:51 AM

রাঁচী: সরকারের টলোমলো অবস্থা, এদিকে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিধায়করা। সঙ্গী খোদ মুখ্যমন্ত্রীও। নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ খারিজ হতে পারে, এই নিয়েই বিগত কয়েকদিন ধরে জল্পনা তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীই যদি বিধায়ক পদ হারান, তবে বাকি বিধায়কদের ‘চুরি’ করে নিয়ে যেতে পারে বিজেপি, এই আশঙ্কাতেই তড়িঘড়ি শনিবার দলের সমস্ত বিধায়কদের বাসে চাপিয়ে অজানা গন্তব্যের দিকে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী সোরেন। বাসে বিধায়কদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সেলফি ইতিমধ্যেই ভাইরাল। এরমধ্যেই সামনে এল আরও একটি নতুন ছবি। সেখানে দেখা গেল বোটে চেপে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য উপভোগ করছেন মুখ্যমন্ত্রী ও বিধায়করা। চিন্তার একটি রেখাও নেই তাঁদের কপালে।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ টিকবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হতেই দল ভাঙানোর আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ঝাড়খণ্ড জনমুক্তি মোর্চা ও জোটসঙ্গী কংগ্রেস। ভাঙন রুখতে রাজস্থান, মহারাষ্ট্রে যেভাবে বিধায়কদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ট্রেন্ড চালু হয়েছে, সেই পন্থা অনুসরণ করেই জেজেএম ও কংগ্রেসের বিধায়কদেরও রাঁচী থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। শনিবারই তাঁকে বিধায়কদের সঙ্গে বাসে করে কোথাও যেতে দেখা যায়। সূত্রের খবর, রাঁচী থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে খুঁটি বলে একটি জায়গায় রিসর্টে রয়েছেন বিধায়করা। শনিবার সেখানে লাটরাটু বাঁধের কাছে বোটে সফর করতেও দেখা যায় তাদের। শনিবার রাতেই তাঁদের রাঁচী ফিরে আসার কথা থাকলেও, শেষ অবধি ফিরে এসেছেন কি না, তা এখনও জানা যায়নি।

বিধায়কদের নিয়ে খুঁটিতে যাওয়ার আগেই দফায় দফায় দলের বিধায়ক, নেতাদের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সূত্রের খবর, ৪৩ জন বিধায়ককে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সমস্ত বিধায়কদেরই এক জায়গায় রাখা হয়েছে। তবে তাদের যাবতীয় ব্যাগ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেই রাখা রয়েছে।

অন্যদিকে, সূত্রের খবর, রবিবার নয়, সোমবারই রাজ্যপাল রমেশ বাইস জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ থাকবে কি না। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু রাজ্যপাল বিশেষ কাজে দিল্লিতে থাকায় সেই চিঠি দেখেননি। শুক্রবারই তিনি রাজভবনে পৌঁছে চিঠি হাতে পাওয়ার কথা জানালেও, মুখ বন্ধ ওই খামের ভিতরে কী রয়েছে, সে বিষয়ে এখনও জানাননি।