AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

করোনার ভয়াল গ্রাসের পিছনে আসল কারণ কী, জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দেশের মোট সংক্রমণের ৫০ শতাংশেরও বেশি নির্দিষ্ট কয়েকটি রাজ্য থেকেই হচ্ছে বলে জানান হর্ষ বর্ধন। এই পরিস্থিতিতে সকলে যেন মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার অনুরোধ জানান তিনি।

করোনার ভয়াল গ্রাসের পিছনে আসল কারণ কী, জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন। ছবি:PTI
| Updated on: Apr 07, 2021 | 12:12 PM
Share

নয়া দিল্লি: নতুন বছরে ফের একবার ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে করোনাভাইরাস(COVID-19)। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১.১৫ লাখ ছাড়িয়েছে, যা সর্বকালের সর্বাধিক সংক্রমণ। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির পিছনে আসল কারণ জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন(Harsh Vardhan)। তিনি জানান, দেশে করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমতেই সাধারণ মানুষ কোভিড স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে যে অনীহা দেখিয়েছেন, সেই কারণেই দেশে ফের একবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে সাধারণ মানুষ এভাবেই স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে অনীহা প্রকাশ করতে থাকেন, তবে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।” সকলে যেন মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো অতি সাধারণ স্বাস্থ্যবিধিগুলি অনুসরণ করে চলেন, সেই অনুরোধও করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

দেশের মোট সংক্রমণের ৫০ শতাংশেরও বেশি নির্দিষ্ট কয়েকটি রাজ্য থেকেই হচ্ছে বলে জানান হর্ষ বর্ধন। সংক্রমণের শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়, দিল্লি, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, মধ্য প্রদেশ, পঞ্জাব ও রাজস্থানের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিনি জানান, এই ১১টি রাজ্য থেকেই দেশের মোট সংক্রমণের ৫৪ শতাংশের খোঁজ মিলছে। সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর ক্ষেত্রেও ৬৫ শতাংশই এই রাজ্যগুলির বাসিন্দা। মহারাষ্ট্র ও পঞ্জাবে করোনা সংক্রমণের মৃত্যুর হার সর্বাধিক।

হর্ষ বর্ধন জানান, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী মহারাষ্ট্রে পজিটিভিটি হার ২৫ শতাংশ ও ছত্তীসগঢ়ের পজিটিভিটি হার ১৪ শতাংশ। ১০০ জনের মধ্যে কতজনের করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ আসছে, তাকেই পজিটিভিটি রেট বলে। তিনি জানান, গতবছরের শেষভাগে সংক্রমণের হার কমে গেলেও গত ফেব্রুয়ারি থেকেই ফের একবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন বছরের অধিক সংক্রমিত হচ্ছে ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সীরা। মৃত্যুর ক্ষেত্রে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের মৃত্যুর হারই সবথেকে বেশি।

সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর বিগত চার সপ্তাহে গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, ছত্তীসগঢ় ও মহারাষ্ট্রে করোনা পরীক্ষার হার বৃদ্ধির প্রশংসা করলেও তিনি জানান, বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে যে পরিমাণে পরীক্ষা করা সম্ভব, তা এখনও সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করা হচ্ছে না। সংক্রমণ রুখতে কেন্দ্রের তিন দাওয়াই- টেস্ট, ট্রাক ও কন্টাক্ট ট্রেসের উপর জোর দেন তিনি।