হাসপাতালগুলিকে মানতেই হবে এই নিয়ম, তাপপ্রবাহে মৃত্যুমিছিল বাড়তেই কড়া নির্দেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
Heatwave: বর্ষাকালেও দেশজুড়ে যে তাপপ্রবাহ চলছে এবং তার জেরে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, মারাও যাচ্ছেন, সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতেই বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা। তিনি কেন্দ্রের অধীনস্থ সমস্ত সরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি যাচাই করে দেখেন।
নয়া দিল্লি: নামেই বর্ষাকাল। ছিটেফোঁটা বৃষ্টিরও দেখা নেই। তাপপ্রবাহের জ্বালা দিনে দিনে আরও বেড়েই চলেছে। তীব্র দাবদাহ সহ্য করতে না পেরে মৃত্যুও হচ্ছে বহু মানুষের। শুধু দিল্লিতেই তাপপ্রবাহের জেরে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কঠোর নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের। তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীদের অগ্রগণ্যতা দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিকে মেনে চলতে বলা হল নিয়ম।
বর্ষাকালেও দেশজুড়ে যে তাপপ্রবাহ চলছে এবং তার জেরে বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন, মারাও যাচ্ছেন, সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতেই বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা। তিনি কেন্দ্রের অধীনস্থ সমস্ত সরকারি হাসপাতালের প্রস্তুতি যাচাই করে দেখেন। ডিরেক্টরদের নির্দেশ দেন অবিলম্বে যেন স্পেশাল হিটওয়েভ ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়। তাপপ্রবাহে অসুস্থ রোগীদের যাতে যথাসম্ভব সেরা চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়, তাও নিশ্চিত করতে বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
কেন্দ্রের পাশাপাশি দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে তাপপ্রবাহ থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাকার জন্য বিশেষ গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। দিল্লির রাম মোহন লোহিয়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডঃ অজয় শুক্লা জানিয়েছেন, তাপপ্রবাহে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। ৬০-৭০ শতাংশ রোগীরই মৃত্যুুর সম্ভাবনা থাকে। রোগীকে যত দেরিতে হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে, তার বাঁচার সম্ভাবনা ততই কমবে। সেই কারণে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকতে এবং তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করতে যাবতীয় সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, তাপপ্রবাহের জেরে দিল্লির তিনটি হাসপাতালে ২০ জন রোগীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। একাধিক রাজ্য থেকেই তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে পড়া এবং মৃত্যুর খবর মিলছে। শুধু তাই নয়, এবার হজ যাত্রীদেরও মৃত্যুর খবর মিলেছে। এখনও পর্যন্ত ৬০০-রও বেশি হজ পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬৮ জন ভারতীয়।