Kiran Rijiju: ‘ভারতের মতো স্বাধীন বিচারব্য়বস্থা বিশ্বের কোথাও নেই’, প্রধান বিচারপতির উদ্বেগের জবাব দিলেন আইনমন্ত্রী

Kiran Rijiju: আইনজীবী ও বিচারকদের সুরক্ষার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, "ভারতীয় বিচারব্য়বস্থা ও বিচারপতিরা সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত। আমি স্পষ্ট বলতে পারি যে কোনও বিচারপতি বা বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বিশ্বের কোথাও এত স্বাধীন নন, যতটা ভারতে স্বাধীনতা দেওয়া হয়।"

Kiran Rijiju: 'ভারতের মতো স্বাধীন বিচারব্য়বস্থা বিশ্বের কোথাও নেই', প্রধান বিচারপতির উদ্বেগের জবাব দিলেন আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2022 | 8:35 AM

নয়া দিল্লি: দেশের বিচারব্যবস্থা ও সংবাদমাধ্যমের ট্রায়াল নিয়ে শনিবারই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই কীভাবে সংবাদমাধ্যমগুলিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে দেওয়া হয়, তা নিয়ে সরব হন তিনি। উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিচারপতিদের সুরক্ষা নিয়েও। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরণ রিজিজু। শনিবার তিনি বলেন, “ভারতের মতো বিশ্বের আর কোনও বিচারব্যবস্থা এত স্বাধীন নয়।”

প্রধান বিচারপতির উদ্বেগ প্রকাশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি সরাসরি বলেন, “প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় যে মিডিয়া ট্রায়ালের কথা বলেছেন, তা ভারত ও বিশ্বের অন্যান্য অংশে হওয়া নানা পরিস্থিতির বিশ্লেষণ করার পরই নিজের ব্যক্তিগত মত হিসাবে বলেছেন। যদি কেউ এমন মনে করেন, তবে আমরা জনসমক্ষে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারি। প্রধান বিচারপতি কী বলেছেন, সে বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।”

আইনজীবী ও বিচারকদের সুরক্ষার প্রসঙ্গেও আইনমন্ত্রী বলেন, “ভারতীয় বিচারব্য়বস্থা ও বিচারপতিরা সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত। আমি স্পষ্ট বলতে পারি যে কোনও বিচারপতি বা বিচারব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি বিশ্বের কোথাও এত স্বাধীন নন, যতটা ভারতে স্বাধীনতা দেওয়া হয়।”

গতকাল রাঁচির ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ইন ল-রে তরফে আয়োজিত একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, “নতুন মিডিয়ার কাছে যা ক্ষমতা রয়েছে, তাতে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে বড় করে তুলে ধরার যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে কিন্তু তারা ভাল ও মন্দের মধ্যে, সঠিক ও বেঠিক এবং আসল ও নকলের মধ্যে পার্থক্যটা বুঝতে ব্যর্থ। সংবাদমাধ্যমের পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি সাধারণ মানুষদের প্রভাবিত করছে, গণতন্ত্রকে দুর্বল করছে এবং বিচারব্যবস্থার ক্ষতি করছে।”

তিনি আরও বলেন, “নিজের দায়িত্বের থেকে অতিরিক্ত করে এবং সীমারেখা পার করে আপনারা গণতন্ত্রকেই দুই পা পিছিয়ে দিচ্ছেন। সংবাদপত্রের এখনও তাও কিছুটা হলেও বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে, কিন্তু ইলেকট্রনিক মিডিয়ার এক ফোঁটাও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই, কারণ এটি কিছু দেখানোর নিমেষের মধ্যেই তা উধাও হয়ে যায়। তবে সবথেকে খারাপ সোশ্যাল মিডিয়াই।”