UP Assembly Election 2022: লক্ষ্য ২২-এ বাজিমাত, নির্বাচনের ১০০ দিন আগে থেকেই কোমর বেঁধে প্রচারে নামছে বিজেপি

BJP meeting on UP Assembly Election 2022: সূত্রের খবর, লখিমপুরের প্রসঙ্গ ছাড়াও গতকালের বৈঠকে আগামী ১০০ দিনের নির্বাচনের প্রচারের কী পরিকল্পনা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

UP Assembly Election 2022: লক্ষ্য ২২-এ বাজিমাত, নির্বাচনের ১০০ দিন আগে থেকেই কোমর বেঁধে প্রচারে নামছে বিজেপি
কথা রাখেনি বিজেপি নেতৃত্ব, অভিযোগ মৃত উলেন রায়ের স্ত্রীয়ের। (প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 12, 2021 | 7:46 AM

লখনউ: লখিমপুর কাণ্ডের প্রভাব পড়তে পারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (Uttar Pradesh Assembly Election 2022)। তাই তড়িঘড়ি নির্বাচনের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা ঠিক করতে বৈঠকে বসলেন বিজেপি(BJP)-র শীর্ষ নেতৃত্বরা। সোমবারই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে উত্তর প্রদেশের বিজেপির শীর্ষনেতৃত্বদের একটি বৈঠক হয় বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা(JP Nadda)-ও ওই বৈঠকে কিছুক্ষণের জন্য উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

দিল্লিতে চার ঘণ্টা ধরে চলা এই বৈঠকের প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল আগামী বছর উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন ও তার প্রস্তুতি। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে লখিমপুর খেরিতে কৃষকমৃত্যুর (Lakhimpur Violence) যে ঘটনা ঘটে এবং তার প্রভাব নির্বাচনে কতটা পড়তে চলেছে, তা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়।

এএনআই সূত্রে খবর, গতকালের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ, উত্তর প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত নেতা রাধামোহন সিং, রাজ্য সভাপতি স্বতন্ত্রদেব সিং ও উত্তর প্রদেশ নির্বাচনের মুখ্য পর্যবেক্ষক ধর্মেন্দ্র প্রধান।

সূত্রের খবর, লখিমপুরের প্রসঙ্গ ছাড়াও গতকালের বৈঠকে আগামী ১০০ দিনের নির্বাচনের প্রচারের কী পরিকল্পনা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজ্য়ের দলীয় প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্মীরা যেন সাধারণ মানুষের কাছে ভাল বার্তা নিয়ে পৌঁছয়। একইসঙ্গে নির্বাচনে দলিত ও ব্রাহ্মণ ভোটব্যাঙ্ক দখলের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সূত্রের দাবি, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া শ্রেণির প্রতিনিধিদেরই মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হবে। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের একটি বড় অংশের জনসংখ্যা ব্রাহ্মণ, সেই ভোটকেও বিজেপির ঝুলিতে ভরতে বিশেষভাবে কাজে লাগানো হতে পারে জীতীন প্রসাদকে।

অন্যদিকে, দ্বিতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে লড়তে চলেছেন যোগী আদিত্যনাথ। গত মাস থেকেই দলের তরফে তাঁর নামে প্রচার শুরু করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে জিততে বিজেপির তরফে জনকল্যাণমূলক কাজের একটি লম্বা তালিকাও তৈরি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সেই প্রকল্প ও সুবিধাগুলি নিয়ে ভোটারদের কাছে পৌঁছে যাবে দলীয় কর্মীরা, এমনটাই সূত্রের খবর।

জোটের কথাবার্তা:

প্রথমে বিজেপি একাই লড়ার কথা জানালেও গতকালের বৈঠকে জোট নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে কোন দলগুলি বিজেপির সমর্থনে রয়েছে এবং তাদের সঙ্গে জোট বাধলে কতটা লাভ হতে পারে, সে বিষয়ে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা হয়েছে। তবে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।

আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। হাতে বেশি সময় না থাকায় ১০০ দিনের প্রচার প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুথ স্তরেও জনসংযোগ বাড়াতে একাধিক বৈঠক ও জনসভার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

মোট ৪০৩টি বিধানসভা আসনে নির্বাচন হবে আগামী বছর। ২০১৭ সালের নির্বাচনে ৩২৫ টি আসনে জিতেছিল বিজেপি, সমাজবাদী পার্টি ও তাদের জোটসঙ্গীরা পেয়েছিল ৫৪টি আসন এবং বহুজন সমাজ পার্টি পেয়েছিল ১৯টি আসন। এবারও মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন যে, বিপুল ভোটে জিতেই পুনরায় উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি। ৪০৩টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ৩৫০ আসনে বিজেপি জিতবে বলেই গ্যারান্টি দিয়েছেন তিনি।