Zika Virus: যোগী রাজ্যে আতঙ্কের নতুন নাম জ়িকা ভাইরাস, আক্রান্তের মধ্যে মহিলাই বেশি
Kanpur: এখনও অবধি কানপুরে ১১ জনের শরীরে জ়িকা ভাইরাসের সংক্রমণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনই মহিলা।
কানপুর: এ যেন গোদের উপর বিষ ফোঁড়া। একদিকে যখন করোনা ঘুম উড়িয়েছে যোগী রাজ্যে, তখন আবার নতুন বিপদের নাম জ়িকা ভাইরাস (Zika Virus)। সোমবার কানপুরে আরও একজনের শরীরের জ়িকার সংক্রমণ ধরা পড়ে। সূত্রের খবর, এই নিয়ে ২৩ অক্টোবর থেকে মোট ১১ জনের শরীরের জ়িকা ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। সোমবার এক মহিলার শরীরে এই সংক্রমণ পাওয়া যায়। কিং জর্জ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি লখনউয়ে এই পরীক্ষা হয়।
সোমবার উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্তা বেদব্রত সিং জানান, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় জ়িকা সংক্রমণ নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছি। প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মী এ নিয়ে মানুষকে বোঝাচ্ছেন। কড়া নজরদারিও চলছে। তবে এখনও অবধি কানপুর ছাড়া অন্য কোনও জেলায় সংক্রমণের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। জ্বর হলেই যথাযথ নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।”
এখনও অবধি কানপুরে ১১ জনের শরীরে জ়িকা ভাইরাসের সংক্রমণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনই মহিলা। এমনকী একজন গর্ভবতী মহিলার শরীরেও জ়িকা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে বলে সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর।
আর পাঁচটা মশাবাহিত রোগের মধ্যে জ়িকাও একটি। মশার কামড় থেকেই ছড়াই এই ভাইরাস। সাধারণত এডিস মশা কামড়ালে জ়িকা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এরাই এই ভাইরাসের বাহক। দিনের বেলা কামড়ায় এডিস মশা। ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়াও ছড়ায় এই এডিস মশা থেকে।
জ়িকার প্রথম উপসর্গ হল জ্বর। তবে জ়িকা ভাইরাস চিহ্নিত করা কঠিন। অনেকেই সাধারণ জ্বর ভেবে গুরুত্ব দেন না। এরই মধ্যে রয়েছে কোভিড। তাই জ্বর হলেই আরটি পিসিআর টেস্টের কথা ভাবেন অনেকে। তবে জ়িকায় সাধারণত যে উপসর্গগুলি দেখা যায়, সেগুলি হল, জ্বর, নাক থেকে জল পড়া, মাথা ব্যাথা, গায়ে র্যাশ। এক সপ্তাহের বেশি এই উপসর্গগুলি থাকলে জ়িকা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অনেক রোগী ক্ষেত্রে কনজাংটিভাইটিসও দেখা যায়। পেশীতে ব্যাথাও একটি উপসর্গ।
ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকর নইপাল সিং জ়িকার সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে, তা খতিয়ে দেখার জন্য দু’টি পৃথক দল গঠন করেছেন। অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক চিকিৎসক সুবোধ প্রকাশের নেতৃত্বাধীন একটি দল যায় পরদেবনপুর – পোখারপুরে।
সেখান থেকে ২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় যাঁরা ওই ব্যক্তির স্ত্রী, ছেলে এবং মেয়ের সংস্পর্শে এসেছিলেন। দ্বিতীয় দলটি বায়ুসেনার হাসপাতালের ৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছে। যাঁদের শরীরের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেককে আপাতত আইসোলেশনে থাকার জন্য বলা হয়েছে। কানপুরের জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জ়িকার সংক্রমণ রোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক এবং পৌর আধিকারিকদের নিয়ে জরুরিকালীন বৈঠকও হয়েছে।