UP Police: হোমে না পাঠিয়ে ৫ দিন হেফাজতে! ব্যারাকে তরুণীর আত্মহত্যায় কাঠগড়ায় পুলিশ

Suicide at Police Custody: জানা গিয়েছে, মেয়েটির বাবা ২৮ এপ্রিল বিজয়গড় থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে ২ জন ব্যক্তি অপহরণ করেছে। সম্প্রতি পুলিশ তাঁকে জানায়, তাঁর মেয়ে পুলিশ ব্য়ারাকের ছাদ থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যা করেছেন।

UP Police: হোমে না পাঠিয়ে ৫ দিন হেফাজতে! ব্যারাকে তরুণীর আত্মহত্যায় কাঠগড়ায় পুলিশ
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 16, 2022 | 7:00 AM

আলিগড়: পুলিশ ব্যারাকেই আত্মহত্যা করলেন ১৯ বছরের এক তরুণী। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে ঘটেছে এই ঘটনা। মঙ্গলবার এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলেও রবিবার বিষয়টি সামনে আসে। জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী তরুণী অবৈধভাবে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। যদিও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আইনিভাবে ওই তরুণী তাদের হেফাজতে ছিল না। যদিও তাঁকে অপহরণকারীদের থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। কেন ওই তরুণীকে পুলিশ এ ভাবে থানার ব্যারাকে রাখল? কেন তাঁকে উদ্ধার হওয়া মহিলাদের জন্য় নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা হল না। তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

জানা গিয়েছে, মেয়েটির বাবা ২৮ এপ্রিল বিজয়গড় থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে ২ জন ব্যক্তি অপহরণ করেছে। সম্প্রতি পুলিশ তাঁকে জানায়, তাঁর মেয়ে পুলিশ ব্য়ারাকের ছাদ থেকে ঝাঁপ মেরে আত্মহত্যা করেছেন। এর পর সে অভিযুক্ত এক অপহরণকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান, তাঁর মেয়েকে মেরে ফেলার ভয় দেখাত, সেজন্য়ই মেয়ে ঝাঁপ মেরেছে।

পুলিশের দাবি, অপহরণকারীদের থেকে উদ্ধার করে তাঁরা। যদিও তাঁর বাবা তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাননি। নিরাপত্তার জন্য বাড়িতেই রাখার কথা বলেছিলেন। সেই মতো তাঁকে থানার ব্য়ারাকে এক মহিলা কনস্টেবলের কাছে রাখা হয়েছিল। অভিযোগপত্রে আত্মঘাতী তরুণীর বাবা জানিয়েছিলেন ১৬ বছর। ৬ মে তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়। সেই মেডিক্যাল পরীক্ষায় জানা যায়, তাঁর বয়স হয়েছিল ১৯। ১০ মে তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ১১ মে ম্য়াজিস্ট্রেটের সামনে তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করার কথা ছিল। কিন্তু ১০ মে আত্মঘাতী হন তিনি।

অপহরণকারীদের থেকে উদ্ধারের পর কেন সেল্টার হোমে পাঠানো হল না মাথাচাড়া দিচ্ছে সেই প্রশ্ন। কারণ, গার্হস্থ হিংসা, অপহৃত হওয়া বা যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া মহিলাদের রাখার জন্য উত্তরপ্রদেশের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক প্রত্যেক জেলায় ‘ওয়ান স্টপ সেন্টার’ (OSC) তৈরি করেছে। আলিগড়ের সেই সেন্টারে বর্তমানে পাঁচ জন রয়েওছে বলে জানিয়েছেন সে জেলার জেলাশাসক স্মিতা সিংহ। সেই সেন্টারে জায়গাও ফাঁকা রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন ওই তরুণীকে পুলিশ সেখানে পাঠায়নি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

বিষয়টি নিয়ে আলিগড়ের আইনজীবী হরিওম ভার্সনে বলেছেন, “২৪ ঘণ্টার বেশি নিজেদের হেফাজতে কাউকে রাখতে পারে না পুলিশ। পাঁচ দিন একটা মেয়েকে পুলিশি হেফাজতে রাখা বেআইনি। মেয়েটিকে সেল্টার হোমে পাঠানো উচিত ছিল।”