Uttarkashi Tunnel News: উদ্ধারকাজে গতি আনতে এবার Rat-hole প্রযুক্তি, আর কত সময় লাগবে?

Tunnel resque operation: ভার্টিক্যাল (উলম্ব) ড্রিলিংয়ের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৬ মিটার ড্রিল করা হয়ে গিয়েছে। ৮ ইঞ্চি পাইপ ৭৫ মিটার পর্যন্ত চলে গিয়েছে। তবে উলম্ব ড্রিলিং করতে গিয়ে এদিন খানিক জল এসেছে। পাহাড়ের গা ভিজে রয়েছে এর ফলে সমস্যা হয়েছে। ফের ধস নামার আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।

Uttarkashi Tunnel News: উদ্ধারকাজে গতি আনতে এবার Rat-hole প্রযুক্তি, আর কত সময় লাগবে?
ম্যানুয়াল ড্রিলিংয়ে গতি আনার চেষ্টা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 27, 2023 | 9:09 PM

উত্তরকাশী: যেনতেন প্রকারে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করাই প্রধান লক্ষ্য। অগার মেশিন ভেঙে পড়েছে। তবে ম্যানুয়ালি খননকাজ জোরকদমে চলছে। অনুভূমিক ড্রিলিং ও উলম্ব ড্রিলিং- দুই ধরনের কাজই চলছে। অনুভূমিক ড্রিলিংয়ের ক্ষেত্রে Rat hole mining প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে উলম্ব ড্রিলিংয়ের সময় পাহাড়ের গা বেয়ে জল চলে আসায় কাজে বিঘ্ন ঘটছে।

সুড়ঙ্গে ধস নামার পর দু-সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে। অগার মেশিন ভেঙে পড়ায় উদ্ধারকাজ স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হয়েছে। তাই আর এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করতে নারাজ প্রশাসন থেকে উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা একযোগে দিন-রাত এক করে কাজ করে চলেছেন। সোমবার ভোর সাড়ে ৪টের মধ্যে অগার মেশিন সম্পূর্ণ কেটে বের করা হয়ে গিয়েছে। তবে শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, অগার মেশিনের ব্লেড এখনও সুড়ঙ্গের মুখে আটকে রয়েছে। ফলে পাইপের অংশ কাটতে হচ্ছে। তবে নতুন করে ৩ মিটার পাইপ ওয়েল্ডিং করা হয়ে গিয়েছে। উদ্ধারকারী দলের এক সদস্য জানান, অনুভূমিক ড্রিলিংয়ের ক্ষেত্রে মোট ১০ থেকে ১২ মিটার ম্যানুয়াল ড্রিলিং করতে হবে। হাতে করে মাটি-পাথর সরানো হবে। Drift procedure হবে। মেশিন দিয়ে পাইপ পুশ করা হবে না। ইতিমধ্যে ১২ মিটার ভিতরে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। মোট ৪৮০ মিটার যেতে হবে। সরু খাদ খনন করতে কয়লা উত্তোলনের প্রাচীন পদ্ধতি Rat mining প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। উত্তরাখণ্ড সরকারের সচিব নীরজ খাইরওয়াল জানান, ম্যানুয়ালি ধ্বংসবাশেষ সরাতে ২৪টি Rat miner টানা ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে। তিনটি শিফটে কাজ চলবে।

অন্যদিকে, ভার্টিক্যাল (উলম্ব) ড্রিলিংয়ের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৬ মিটার ড্রিল করা হয়ে গিয়েছে। ৮ ইঞ্চি পাইপ ৭৫ মিটার পর্যন্ত চলে গিয়েছে। তবে উলম্ব ড্রিলিং করতে গিয়ে এদিন খানিক জল এসেছে। পাহাড়ের গা ভিজে রয়েছে এর ফলে সমস্যা হয়েছে। ফের ধস নামার আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। যদিও পাহাড়ে জলস্তর যা আছে, সেটা বিপজ্জনক নয় বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিনিয়ত ভূমি পরীক্ষা করা হচ্ছে। সব ঠিকঠাক চললে ৩০ তারিখের মধ্যে উলম্ব ড্রিলিংয়ের কাজ শেষ হতে পারে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। সবমিলিয়ে, দ্রুত উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করতে চেষ্টার খামতি রাখছেন না উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।