Video: কার্গিলে বায়ুসেনার ‘গরুড়’ বাহিনীর তৎপরতা, রাতের অন্ধকারে বিশেষ অভিযান
Kargil airstrip: রাতের অন্ধকারে, জম্মু ও কাশ্মীরের কার্গিলে নামল ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৩০জে বিমান। এটি মূলত বায়ুসেনার সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন করে। টেরাইন মাস্কিং এনব়্যুট ব্যবহার করে রাতের অন্ধকারে কার্গিলে নামল বিমানটি। শুরু হল গড়ুর বাহিনীর বিশেষ অভিযান।
বায়ুসেনার কোনও বিমান। সমূদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮,৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই এয়ারস্ট্রিপ। শুধু তাই নয়, এটি হিমালয়ের কঠিন ভূখণ্ডে অবস্থিত। তাই, এখানে দিনেরবেলাই বিমান নামানো পাইলটদের জন্য চ্যালেঞ্জের। রাতের অন্ধকারে তো চ্যালেঞ্জটা অনেক বেশি। কাজেই, এটা ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য এক নতুন মাইলফলক বলা যায়।
রবিবার (৭ জানুয়ারি), সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অবতরণের এক ভিডিয়ো শেয়ার করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সঙ্গে লিখেছে, “সম্প্রতি প্রথমবার, আইএএফ-এর সি-১৩০জে বিমান কার্গিল এয়ারস্ট্রিপে রাতে অবতরণ করেছে।” বায়ুসেনা আরও জানিয়েছে, এর জন্য তারা টেরাইন মাস্কিং এনব়্যুট ব্যবহার করেছে। আর এই অবতরণের ফলে, বায়ুসেনার গরুর বাহিনীর এক প্রশিক্ষণ অভিযানও শুরু হয়েছে। তবে, এই প্রশিক্ষণ অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানায়নি আইএএফ।
তবে, কার্গিলের চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে, বিশেষ করে অন্ধকারে সফলভাবে সি-১৩০জে বিমান অবতরণ করানো আইএএফ-এর পাইলটদের দক্ষতার পরিচয়। শুধু তাই নয়, এর সঙ্গে বায়ুসেনার অভিজাত বাহিনী, গরুড়-এর প্রশিক্ষণ অভিযানের সূচনা বায়ুসেনার সূক্ষ্ম পরিকল্পনারও পরিচয়। বায়ুসেনা আরও জানিয়েছে, এই অভিযানের মধ্য দিয়ে তারা তাদের বায়ু এবং স্থল শাখার মধ্যে সমন্বয়ের অনুশীলনও হয়েছে। ফলে, পাহাড়ি পরিবেশে যে কোনও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্য তারা প্রস্তুত বলে জানিয়েছে বায়ুসেনা।
এই অবতরণ, পাহাড়ি এলাকায় বায়ুসেনার সক্ষমতা বৃদ্ধির আরও এক পরিচয়। গত বছরের নভেম্বরে, উত্তরাখণ্ডের এক দুর্গম এয়ারস্ট্রিপে অবতরণ করেছিল বায়ুসেনার দু-দুটি সি-১৩০জে-২০ ‘সুপার হারকিউলিস’ সামরিক পরিবহন বিমান। প্রতিকূল আবহাওয়ায় ওই অভিযান হয়েছিল। নভেম্বরে সিল্কিয়ারায় নির্মাণাধীন সূড়ঙ্গে ধসের জেরে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে সহায়তার জন্য ভারী সরঞ্জাম এসেছিল বিমানদুটিতে। গত বছর, সুদানেও রাতের অন্ধকারে পরিচালিত এক অভিযানে এই বিমান ব্যবহার করেছিল বায়ুসেনা।