AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘যখন নীতীশ কুমার হাত ছেড়েছিলেন তখনও আমরা ছিলাম’, এনডিএতে চিরাগ বিস্ফোরণ

এনডিএ জোটে থাকার বিষয়ে তিনি বলেছেন, "হনুমান সুখে-দুঃখে রামের সঙ্গেই ছিল। এখন রামকে দেখতে হবে হনুমান কোথায়।"

'যখন নীতীশ কুমার হাত ছেড়েছিলেন তখনও আমরা ছিলাম', এনডিএতে চিরাগ বিস্ফোরণ
ফাইল চিত্র
| Updated on: Jun 22, 2021 | 9:33 AM
Share

নয়া দিল্লি: বিহারের (Bihar) রাজনৈতিক সমীকরণ কোন দিকে যাচ্ছে, তা আন্দাজ করতে পারছেন না বাঘা বাঘা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। নেপথ্যে কাকা-ভাইপোর কাজিয়া। রামবিলাস পাসোয়ানের ভাই পশুপতি পরসের নেতৃত্বে লোক জনশক্তি পার্টিতে ভাঙন হয়েছে। ৬ সাংসদের মধ্যে রামবিলাস পুত্র চিরাগ বাদে বাকি সবাই পশুপতির নেতৃত্বে বিশ্বাসী। চেয়েই সমঝোতার পথে হাঁটতে পারেননি চিরাগ। অর্থাৎ ভেঙে গিয়েছে এলজেপি।

এই পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান সুস্পষ্ট করছেন রামবিলাস পুত্র। তিনি জানিয়েছেন, এনডিএ জোটেই রয়েছে তাঁর নেতৃত্বাধীন এলজেপি। কিন্তু ৫ সাংসদ লোকসভা স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি লিখে তাঁদের পৃথক ‘গ্রুপ’ হিসেবে দেখতে অনুরোধ করেছেন। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে আসল এলজেপি কোনটা? চিরাগ নেতৃত্বাধীন এলজেপি না কি পশুপতি নেতৃত্বাধীন এলজেপি। চিরাগের অবশ্য় দাবি, জনসমর্থন তাঁর সঙ্গেই রয়েছে।

সমর্থন প্রদর্শন করতে ন্যাশনাল এগজ়িকিউটিভ মিটিংও ডেকেছিলেন তিনি। চিরাগের দাবি সেখানে ৯০ শতাংশ ন্যাশনাল এগজ়িকিউটিভ উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, পশুপতির নেতৃত্বে এলজেপিতে ভাঙন ধরানোয় মদত রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের। পশুপতি পরসের মন্তব্যও সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। স্বভাবতই চিরাগ বারবার নিশানা করছেন নীতীশকে। বিহারের মুখ্য়মন্ত্রীকে ‘অ্যান্টি দলিত’ মুখ্যমন্ত্রী বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। এনডিএ জোটে বিজেপির সঙ্গে শরিক এলজেপি ও নীতীশের দল জেডিইউ। ক্রমাগত নীতীশ কুমারকে আক্রমণ করলে চিরাগের ক্ষেত্রে বিজেপি স্ট্যান্ড নেওয়ার আগেই এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ভুলে গেলে হবে না ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর আমরা বিজেপির হাত ধরেছিলাম। নীতীশ যখন জোট ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তখন পাসোয়ান ভোটাররাই ভোট দিয়েছিল।”

হুঁশিয়ারির পাশাপাশি নরম সুরেও বিজেপিকে বার্তা দিচ্ছেন চিরাগ। এনডিএ জোটে থাকার বিষয়ে তিনি বলেছেন, “হনুমান সুখে-দুঃখে রামের সঙ্গেই ছিল। এখন রামকে দেখতে হবে হনুমান কোথায়।” অর্থাৎ বারবার বিজেপিকে চিরাগ বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তিনি বিজেপির সঙ্গেই আছেন। আর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাসোয়ান ভোট অর্থাৎ দলিত ভোট এখনও চিরাগের সঙ্গেই আছে। তাই কোন দিকে বিহারের রাজনীতি এগোবে সে দিকেই চোখ সকলের।

আরও পড়ুন: করোনা আবহেও ভারতে বিপুল বিদেশি বিনিয়োগ, রিপোর্ট প্রকাশ রাষ্ট্রসঙ্ঘের