Kerala Story: ‘অন্যায় করল পশ্চিমবঙ্গ’…, কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া অনুরাগ-মালব্যর

Ban on The Kerala Story: দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে বিতর্কিত ফিল্ম, 'দ্য কেরল স্টোরি' প্রদর্শন নিষিদ্ধ করল পশ্চিমবঙ্গ। এই প্রেক্ষিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।

Kerala Story: 'অন্যায় করল পশ্চিমবঙ্গ'..., কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া অনুরাগ-মালব্যর
ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচানোর জন্যই তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দাবি অনুরাগ ঠাকুরের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 08, 2023 | 8:39 PM

নয়া দিল্লি: দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে বিতর্কিত ফিল্ম, ‘দ্য কেরল স্টোরি’ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করল পশ্চিমবঙ্গ। সোমবার (৮ মে), মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ফিল্মটি প্রদর্শিত হলে, ঘৃণা এবং হিংসা ছড়িয়ে পড়তে পারে। রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজার রাখতেই ফিল্মটির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হল বলে জানিয়েছেন মমতা। বঙ্গে ফিল্মটির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার কথা ষোষণা করার পরই, ফিল্মটির নির্মাতারা জানিয়েছেন মমতা সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে দ্বারস্থ হবে তারা। অন্যদিকে এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তাঁর দাবি, ভোট ব্যাঙ্ক বাঁচানোর জন্যই তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের মতে, এই সিদ্ধান্ত ‘দুর্ভাগ্যজনক’।

এদিন পশ্চিমবঙ্গ ফিল্মটির প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার পর, সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “ওদের (বিরোধীদের) মুখোশ খুলে যাচ্ছে, তাই ওরা তুষ্টিকরণ ও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। মেয়েদের ভুল পথে হাঁটতে বাধ্য করছে তারা। দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করে অন্যায় করল পশ্চিমবঙ্গ। এই নিয়ে আমি কী বলব? মাত্র কয়েকদিন আগে, বাংলায় একটি মেয়েকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে। যেভাবে তার দেহ টেনে নিয়ে যাওয়ার ছবি সামনে এসেছে, তা লজ্জাজনক। পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের উপর এই ধরনের অত্যাচার হচ্ছে, সেই নিয়ে কিছু বলছেন না মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ফিল্মটি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এই সন্ত্রাসবাদীদের পক্ষে দাঁড়িয়ে আপনার (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কী লাভ? এই ধরনের ভাবনা-চিন্তাকে সমর্থন করে আপনার কী লাভ? যখন ওরা এই ফিল্মের বিরোধিতা করছে, ভারত থেকেই সন্ত্রাসবাদীরা সমর্থন পাচ্ছে।”

অমিত মালব্য বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে কেরল স্টোরি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক। এটা নাগরিক স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর আঘাত। ফিল্মটিতে সন্ত্রাসবাদের শিকারদের বাস্তব বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে, যাদের বিশ্বের অন্যতম বর্বর শক্তি আইএসআইএস-এর কামানের গোলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এই হুমকির কথা স্বীকার করেছেন কেরলের দুই মুখ্যমন্ত্রী – ভি এস অচ্যুতানন্দন, যিনি একজন কমিউনিস্ট এবং ওমেন চান্ডি, একজন কংগ্রেস নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি কেরলে লাভ জিহাদের ভয়ঙ্কর ঘটনা সম্পর্কে ক্যাথলিক বিশপ কাউন্সিল, সাইরো মালাবার চার্চ, থামারাসেরি ডায়োসিসের ক্যাটেচেসিস বিভাগ বা কেরল হাইকোর্টের থেকেও বেশি জানেন? এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে কাদের খুশি করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? আমাদের মেয়েদের রক্ষা করার পরিবর্তে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের মৌলবাদীদের পক্ষে দাঁড়ালেন।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিনেমাটি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার আগেই, ফিল্ম তারকা তথা সমাজকর্মী শাবানা আজমি ফিল্মটি নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন। সোমবার সকালে তিনি টুইটে লেখেন, “আমির খানের লাল সিং চাড্ডা নিষিদ্ধ করার দবি যাঁরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের মতোই যাঁরা দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ করার কথা বলছেন, তাঁরা ভুল করছেন। একবার সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের কোনও ফিল্মকে ছাড় দেওয়ার পর কারোরই অতি সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হওয়ার অধিকার নেই।”

বাংলার পাশাপাশি ফিল্মটি প্রদর্শনে বাধা পড়েছে তামিলনাড়ুতেও। তামিলনাড়ু সরকারের পক্ষ থেকে ফিল্মটির প্রদর্শন নিয়ে কোনও আপত্তি না জানানো হলেও, সেখানকার হল-মালিকরা ফিল্মটির প্রদর্শনের সময় হলে ভাঙচুর হতে পারে আশঙ্কায় ফিল্মটির প্রদর্শন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।