Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিমানঘাঁটিতে হামলা করেই ‘ভ্যানিশ’, কোত্থেকে এসেছিল ‘শক্তিশালী’ ড্রোন?

Jammu Airport Blast: পাকিস্তানের হাতে এমন কোনও শক্তিশালী ড্রোন নেই। তাই আঙুল উঠছে চিনের বিরুদ্ধে। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ড্রোন চিনে তৈরি হলেও হয়ে থাকতে পারে।

বিমানঘাঁটিতে হামলা করেই 'ভ্যানিশ', কোত্থেকে এসেছিল 'শক্তিশালী' ড্রোন?
ছবি - পিটিআই
Follow Us:
| Updated on: Jun 29, 2021 | 10:11 AM

জম্মু: প্রথমে রাত ১টা ৩৭, তারপর ১টা ৪৭ মিনিট, জোড়া বিস্ফোরণ জম্মুর বায়ুসেনা বিমানঘাঁটিতে (Jammu Airport)। রবিবারের সকাল শুরু হয়েছিল এ ভাবেই। কঠোর নিরাপত্তাকে ফাঁকি দিয়ে বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতে ঢুকেছিল ‘শক্তিশালী’ ড্রোন। বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি না হলেও একেবারে বায়ুসেনার অন্দরে এই হামলা চিন্তা বাড়াচ্ছে। ২ আহত বায়ুসেনা আধিকারিক আপাতত সুস্থ। কিন্তু তদন্তে নেমে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষই পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা।

যার অর্থ হামলা চালিয়ে নির্বিঘ্নে উৎসে ফিরে গিয়েছে দু’টি ড্রোন। রাতের অন্ধকারে এত নিখুঁত হামলা করে ফিরে গিয়েছে ড্রোন। সেখান থেকেই তদন্তকারীদের ধারণা, এই ড্রোন নিম্নমানের ড্রোন নয়। যথেষ্ট শক্তিশালী ড্রোনেই হয়েছে হামলা। প্রাথমিক তদন্তে ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ডের বম্ব ডেটা সেন্টারের বিশেষজ্ঞদের অনুমান, প্রতিটি বিস্ফোরণে ২ কিলোগ্রামের বেশি বিস্ফোরক ব্যবহার হয়েছে। আরডিএক্স বা ওই জাতীয় উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরকের মাধ্যমেই হামলা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান।

তদন্তকারীদের প্রথমে মনে হয়েছিল, জম্মু বিমান ঘাঁটির কাছাকাছি কোনও এলাকা থেকে বোমারু ড্রোন ওড়ানো হয়েছে। কিন্তু যেহেতু ড্রোনের কোনও ধ্বংসাবশেষ মেলেনি, তাই পাক যোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। কারণ যে জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখান থেকে পাক আকাশ সীমানার দূরত্ব মাত্র ১৪ কিলোমিটার। অর্থাৎ পাক সীমানা পার করে বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব।

পাকিস্তানের হাতে এমন কোনও শক্তিশালী ড্রোন নেই। তাই আঙুল উঠছে চিনের বিরুদ্ধে। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ড্রোন চিনে তৈরি হলেও হয়ে থাকতে পারে। অন্যদিকে পাকিস্তানে এই ড্রোনের যন্ত্রাংশ একত্রিত হয়েছিল, এই সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। সবটাই নির্ভর করছে তদন্তের ওপর।

উল্লেখ্য, জম্মু বিমানঘাঁটির হেলিকপ্টার হ্যাঙ্গারের কাছেই হয় রবিবারের বিস্ফোরণ। হ্যাঙ্গারে থাকে এম-১৭ কপ্টার, পণ্যবাহী বিমান। ২ বায়ুসেনা কর্মী আকাশ থেকে বোমা পড়তে দেখেছেন বলে সূত্রের খবর। তবে কি বায়ুসেনার হেলিকপ্টারকেই টার্গেট করেছিল হামলাকারীরা? সে প্রশ্নও উঠছে।

ড্রোন হামলার দিনই নরবাল থেকে আইইডি-সহ গ্রেফতার হয়েছে লস্কর-ই-তৈলার এক জঙ্গি। সেখান থেকে আরও জোরাল হচ্ছে পাক যোগের সম্ভাবনা। আবার রবিবার রাতেই পুলওয়ামার স্পেশাল পুলিশ অফিসার ফয়াজ আহমেদের বাড়িতে ঢুকে গুলিতে ঝাঁঝরা করেছে জঙ্গিরা।  কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে সীমানা পুনর্বিন্যাস নিয়ে কথা হয়েছে। তারপরেই এই একাধিক হামলার কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টাও কাটল না, এ বার জম্মুর সেনা ছাউনিতেও ড্রোন হামলার চেষ্টা, গুলি চালাতেই হাওয়া