AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা থাকছে না’, কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হোয়াটসঅ্যাপ

সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, "মেসেজিং অ্যাপগুলিকে চ্যাটের করতে বলার অর্থ হল প্রতিটি মেসেজের ট্রাক রাখা, যা এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন নীতির সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে ও সাধারণ মানুষের গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করার সমান।"

'ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা থাকছে না', কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হোয়াটসঅ্যাপ
ছবি প্রতীকী।
| Updated on: May 26, 2021 | 12:39 PM
Share

নয়া দিল্লি: ডিজিটাল মাধ্যম নিয়ে কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকার বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) মামলা দায়ের করল হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। সংস্থার তরফে জানানো হয়, কেন্দ্রের এই নীতি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তাকে বিনষ্ট করে দেবে।

মঙ্গলবার ফেসবুকের অধীনে থাকা হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার তরফে আদালতে কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল নীতির বিরুদ্ধে একটি আর্জি দাখিল করা হয়। ব্যবহারকারীদের ট্রেসিং (Tracing)-র নীতি নিয়েই সরব হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। সংস্থার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, “মেসেজিং অ্যাপগুলিকে চ্যাটের করতে বলার অর্থ হল প্রতিটি মেসেজের ট্রাক রাখা, যা এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন নীতির সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে ও সাধারণ মানুষের গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ করার সমান।”

দিল্লি হাইকোর্টে হোয়াটসঅ্যাপের জমা দেওয়া আর্জিতে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রের এই নয়া নির্দেশিকা ভারতীয় সংবিধানেরই বিরুদ্ধে, কারণ এই নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে কেন্দ্র চাইলেই কোনও তথ্যের সৃষ্টিকারী বা প্রথম প্রেরককে খুঁজে বের করতে হবে, যা হোয়াটসঅ্যাপের “এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন নীতি”(End to End Encryption Policy)-র সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে। এছাড়া ২০১৭ সালে একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের উল্লেখ করেও বলা হয়, “সুপ্রিম কোর্টের তরফেও ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষার কথা বলা হয়েছে। আইনী বা অন্যান্য অতি গুরুত্বপূর্ণ কোনও প্রয়োজন ছাড়া যেন গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ না করা হয়।”

বুধবার থেকেই কেন্দ্রের সোশ্যাল মিডিয়া তথা ডিজিটাল মাধ্যম সংক্রান্ত নির্দেশিকা কার্যকর হওয়ার কথা। এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারকে তিন মাসের সময় দেওয়া হয়েছিল এই নীতির সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে এবং নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী নীতি বিরুদ্ধ কোনও পোস্ট বা বিষয়বস্তু ডিলিট করে দিতে হবে। এছাড়াও যে সমস্ত সাইটগুলিতে তৃতীয় ব্যক্তি বা সংস্থার তথ্য থাকে, তারা কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা না করলে আইনী সুরক্ষাও পাবে না। অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্টের প্রেক্ষিতে তারা আইনী সুরক্ষা পাবে না।

ফেসবুকের তরফেও জানানো হয়েছে যে তারা কেন্দ্রের নয়া নিয়মের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও কয়েকটি নীতি নিয়ে আলোচনা করতে চায়। অন্যদিকে, টুইটারের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারের এই নির্দেশিকা নিয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে তারা ইতিমধ্যেই কংগ্রেস টুলকিট মামলায় জড়িয়ে পড়েছে।

আরও পড়ুন: Corona Cases Lockdown News Live: ফের ২ লক্ষ ছাড়াল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, ২০ কোটির গণ্ডি পার করল টিকাকরণ