AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভারতের টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে ৯১ টি দেশকে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের মধ্য এবং নিম্ন আয়ভিত্তিক দেশগুলিকে প্রায় ৪০ কোটি টিকার ডোজ় দেওয়ার কথা ছিল সেরামের। বলাই বাহুল্য, সেই প্রতিশ্রুতি থেকে এখনও বহু দূরে রয়েছে পুণের ভ্যাকসিন নির্মাণকারী সংস্থা।

ভারতের টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে ৯১ টি দেশকে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ফাইল চিত্র
| Updated on: May 31, 2021 | 9:07 PM
Share

নয়া দিল্লি: দেশে করোনা টিকার হাহাকার। যে কারণে আপাতত বিদেশে ভ্যাকসিন রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু আপাতভাবে দেশের স্বার্থের কথা ভেবে নেওয়া এই পদক্ষেপের জেরে বেজায় সমস্যার মুখে পড়েছে বিশ্বের ৯১ টি দেশ। বিড়ম্বনায় পড়েছে প্রধানত সেই দেশগুলি যারা সেরাম ইন্সটিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ওই সংস্থাতে তৈরি হতে চলা নোভোভ্যাক্সের অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে বিপদ বাড়িয়েছে ভারতে সর্বাধিক সংক্রমিত ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট B.1.617.2। গোটা বিষয়টি নিয়ে এ বার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

হু-এর প্রধান গবেষক তথা ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী ডা. সৌম্যা স্বামীনাথন এই নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে বলেন, “ভ্যাকসিনের ঘাটতির কারণে ৯১ টি দেশ সরাসরি প্রভাবিত হয়েছে। বিশেষত যেহেতু অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নির্মাণকারী সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউট ভ্যাকসিন পাঠাতে বা তার বদলে বিকল্প ব্যবস্থার সংস্থান করে উঠতে পারেনি, সেই কারণে সমস্যা বেড়েছে।” বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই ঘটনার জেরে আফ্রিকার মতো একাধিক দেশ বিপদের সম্মুখীন যেখানে করোনার B.1.617.2 স্ট্রেনটি বিপজ্জনকভাবে প্রভাব বিস্তার করছে।

তবে শুধুমাত্র ভারতে সর্বাধিক সংক্রমিত এই স্ট্রেন নয়, অন্যান্য দেশেও করোনার একাধিক স্ট্রেন যেভাবে ডালপালা মেলছে, তা মোটেও স্বস্তির কারণ হচ্ছে না হু-এর জন্য। অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে একাধিক দেশের যে চুক্তি হয়েছিল, সেই অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের মধ্য এবং নিম্ন আয়ভিত্তিক দেশগুলিকে প্রায় ৪০ কোটি টিকার ডোজ় দেওয়ার কথা ছিল সেরামের। বলাই বাহুল্য, সেই প্রতিশ্রুতি থেকে এখনও বহু দূরে রয়েছে পুণের ভ্যাকসিন নির্মাণকারী সংস্থা।

আরও পড়ুন: ধীর গতিতে হলেও কমছে মৃত্যুর হার, সংক্রমণ নিম্নমুখী, তবে আশাব্যঞ্জক নয় টেস্টের হার

ঠিক এই কারণে সৌম্যা স্বামীনাথন বলছেন, “যে ভ্যাকসিন বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে যদি এ ভাবেই তার বণ্টনে ভারসাম্যহীনতা চলতে থাকে, তবে খুব শীঘ্রই আমরা দেখতে পাব বেশ কিছু দেশকে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে পেতে। অন্যদিকে বহু দেশ সংক্রমণের পরবর্তী ঢেউয়ের ধাক্কায় প্রবলভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।”

আরও পড়ুন: ‘মিথ্যে বর্ণনা, ভিত্তিহীন’, সেন্ট্রাল ভিস্তার গতিবিধি খোলসা করল কেন্দ্র