Indira Jaising: ভারতের প্রথম মহিলা ASG, জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং-এর পরিচয় জানুন

Indira Jaising: ২০০৯ সালে প্রথম মহিলা হিসেবে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল পদ পান তিনি। ২০১৮ সালে ফরচুন পত্রিকায় 'Fifty Greatest Leaders'-এর তালিকায় নাম ওঠে তাঁর। ২০০৫ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পান জয়সিং।

Indira Jaising: ভারতের প্রথম মহিলা ASG, জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং-এর পরিচয় জানুন
ইন্দিরা জয়সিং
Follow Us:
| Updated on: Sep 17, 2024 | 6:02 PM

নয়া দিল্লি: আরজি কর মামলায় রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তারদের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। এতদিন পর্যন্ত জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষে সওয়াল করছিলেন আইনজীবী গীতা লুথরা। তাঁর অনুমতি নিয়েই এবার আসরে নেমেছেন ইন্দিরা। আরজি কর মামলায় এমন একজন অভিজ্ঞ আইনজীবীর উপস্থিতি যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইন্দিরা জয়সিং মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে সুপরিচিত। গত কয়েক দশকে একাধিক হাই প্রোফাইল মামলা লড়েছেন তিনি। ১৯৮৪ সালে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে একাধিক মামলায় সওয়াল করেছেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্ট যে বিভিন্ন মামলার শুনানি ইউটিউবে লাইভ স্ট্রিমিং করে, সেটাও এই আইনজীবীর হাত ধরেই। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ লাইভ স্ট্রিমিং-এর অনুমতি দেয়।

এক সাক্ষাৎকারে ইন্দিরা বর্ণনা করেছিলেন, কীভাবে পরিবারের চাপে বিয়ে করতে হয়েছিল তাঁকে। ১৯৬২ সালে একজন আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন তিনি। মহিলা বিদ্বেষ নিয়ে একাধিক মামলা লড়েছেন তিনি। লড়েছেন মেরি রয় মামলা। রূপান দেওল বাজাজ মামলা লড়েছেন তিনি। এটাই ছিল প্রথম কোনও যৌন হেনস্থার মামলা যেখানে দোষী সাব্যস্ত করা হয় অভিযুক্তকে।

ইন্দিরার স্বামী আনন্দ গ্রোভার একজন সিভিল রাইটস আইনজীবী। তাঁরা দুজনেই একের পর এক উল্লেখযোগ্য মামলা লড়েছেন। কখনও সমকামীদের অধিকার, কখনও স্বাস্থ্য বা শ্রম সংক্রান্ত বিষয়ে সওয়াল করেছেন তাঁরা। লিফলেট নামে একটি ল ফার্মও তৈরি করেন তাঁরা।

২০০৯ সালে প্রথম মহিলা হিসেবে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল পদ পান তিনি। ২০১৮ সালে ফরচুন পত্রিকায় ‘Fifty Greatest Leaders’-এর তালিকায় নাম ওঠে তাঁর। ২০০৫ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পান জয়সিং।

মঙ্গলবারের শুনানিতে নজর কাড়ে ইন্দিরার সওয়াল। দাপটের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে সওয়াল করেন বছর ৮৪-র আইনজীবী। কপিল সিব্বলকে কার্যত চুপ করিয়ে দিয়ে তিনি স্পষ্ট করে দেন, আপাতত কাজে ফিরছেন না আন্দোলনকারী ডাক্তাররা।