Bombay High Court: বিধবা মহিলাকে তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ির ভরণপোষণ দিতে হবে না: বম্বে হাইকোর্ট

Bombay High Court: স্বামীর মৃত্যু হলে শ্বশুর-শাশুড়ির ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে না স্ত্রীকে। গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ।

Bombay High Court: বিধবা মহিলাকে তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ির ভরণপোষণ দিতে হবে না: বম্বে হাইকোর্ট
বম্বে হাইকোর্ট (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 17, 2023 | 8:57 PM

মুম্বই: স্বামীর মৃত্যু হলে শ্বশুর-শাশুড়ির ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে না স্ত্রীকে। সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে বম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ। ১২ এপ্রিল বিচারপতি কিশোর সন্তের এক বিচারকের বেঞ্চ এই রায় দেয়। এর আগে, শোভা টিড নামে ৩৮ বছর বয়সী এক মহিলাকে তাঁর মৃত স্বামীর বাবা-মায়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল মহারাষ্ট্রের লাতুর শহরের এক স্থানীয় আদালত। সেই রায়কে বম্বে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন শোভা। হাইকোর্ট তার রায়ে বলেছে, “ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৫ নম্বর ধারায় কোথাও শ্বশুর এবং শাশুড়ির উল্লেখ নেই।”

জানা গিয়েছে, শোভার স্বামী, মহারাষ্ট্র স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনে কাজ করতেন। তাঁর মত্যুর পর শোভা মুম্বইয়ের সরকারি হাসপাতাল, জেজে হাসপাতালে কাজ করা শুরু করেছিলেন। এরপরই শোভা টিডের শ্বশুর কিশানরাও তিড়কে এবং কান্তাবাই তিড়কে তাঁর কাছে ভরণপোষণের অর্থ দাবি করেন। তাঁরা জানান, ছেলের মৃত্যুর পর তাঁদের আয়ের কোনও উৎস নেই।

শোভার অবশ্য দাবি, তাঁর স্বামীর বাবা-মায়ের গ্রামে বেশ কিছু জমি আছে। সেখানে একটি বাড়ির মালিকও তাঁরা। এছাড়া, তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর, ক্ষতিপূরণ হিসাবে মহারাষ্ট্র স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনে থেকে তাঁরা ১.৮৮ লক্ষ টাকা পেয়েছেন।

হাইকোর্ট তার রায়ে বলেছে, স্বামী মৃত্যুর পর শোভা তিড়কে সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি পাননি। তাঁর মৃত স্বামী এমএসআরটিসিতে কর্মরত ছিলেন। শোভা রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগে নিযুক্ত হয়েছেন। সুতরাং, স্পষ্টতই তাঁর নিয়োগ সহানুভূতির ভিত্তিতে হয়নি। মৃত ব্যক্তির বাবা-মা তাঁদের ছেলের মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন এবং তাঁদের জমি ও নিজস্ব বাড়িও রয়েছে। তাঁরা শোভার কাছ থেকে রক্ষণাবেক্ষণ দাবি করে কোনও মামলাও করেননি।”