Bhagwant Mann: ‘ব্যঙ্গ আর গালিগালাজে তফাত রয়েছে’, কুণাল কামরা বিতর্কের মাঝেই ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মান
WITT 2025: পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী আগে পেশায় ছিলেন কমেডিয়ান। তিনি বলেন, "দেশে ধৈর্যের অভাব রয়েছে। ছোট ছোট বিষয়ে আবেগ উস্কে দেয়। রাজু শ্রীবাস্তব লালুজির অনেক নকল করছেন, তিনি অমিতাভ বচ্চনেরও নকল করেছেন। এখানে কি হয়েছে? ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়।"
নয়া দিল্লি: কুণাল কামরার বিতর্ক নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়। সুপ্রিম কোর্টও বাক-স্বাধীনতা নিয়ে মন্তব্য করেছে। এবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান-ও এই বিষয়ে কথা বললেন। শনিবার টিভি৯ নেটওয়ার্কের “হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে”-র অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “ব্যঙ্গ এবং গালিগালাজের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, দেশবাসীর মধ্যে ধৈর্য কমে গিয়েছে।”
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী আগে পেশায় ছিলেন কমেডিয়ান। তিনি বলেন, “দেশে ধৈর্যের অভাব রয়েছে। ছোট ছোট বিষয়ে আবেগ উস্কে দেয়। রাজু শ্রীবাস্তব লালুজির অনেক নকল করছেন, তিনি অমিতাভ বচ্চনেরও নকল করেছেন। এখানে কি হয়েছে? ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। এটা হওয়া উচিত নয়। কমেডিকে কমেডি হিসেবেই নেওয়া উচিত।”
সরকারের উন্নয়নকাজ নিয়ে তিনি বলেন, “আমি যখন কমেডি করতাম, তখন কেবল টিভি এবং অনুষ্ঠানগুলিতেই কমেডি করতাম। কেউ সিস্টেমের উন্নতি করতে পারে না, তারা কেবল ক্ষতি করতে পারে। এখন সুবিধা হল, আমার কাছে একটি কলম আছে এবং আমি সিস্টেমটি উন্নত করতে পারি। মাত্র সাড়ে ১৭ বছর বয়সে আমি বিরাট সাফল্য পেয়েছিলাম, কার্যত সুপারস্টার হয়ে গিয়েছিলাম। এরপর ঈশ্বরই আমাকে শীর্ষ কেরিয়ার ছেড়ে এই পথ অনুসরণ করার সাহস দিয়েছিলেন। আমি যা বলেছি তা রেকর্ডে আছে। আমি এটা অস্বীকার করতে পারি না।”
কমেডি নিয়ে কী বললেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী? মান বলেন, “কমেডি বা ব্যঙ্গে খুব কম শব্দেই অনেক বড় বড় কথা বলা যায়। তবে কোনও কিছুরই সীমা লঙ্ঘন করা উচিত নয়। বর্তমানে এতাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। সেখানে সরাসরি গালিগালাজ দেওয়া হচ্ছে। আমরা পরিবারের সঙ্গে কীভাবে তা দেখব? বাচ্চাদের কথাও ভাবা উচিত। ভারতীয় সভ্যতা পরিবারতান্ত্রিক। পরিবার একসঙ্গে বসে টিভি দেখত। ওটিটি পরিবার ভেঙে দিয়েছে। ছেলে আলাদা দেখে, বাবা আলাদাভাবে দেখে। কোথাও না কোথাও আমরা হয়তো টিআরপি পাওয়ার জন্য একে অপরকে গালিগালাজ করতে দেখব। সেন্সরশিপের পরিবর্তে প্রযোজক বা পরিচালকের এটা লেখাই উচিত নয়। এটা আমাদের সংস্কৃতি নয়।”





