নারী দিবসে একযোগে সংসদে উঠল মহিলা সংরক্ষণ বিল পাসের দাবি
সব ক্ষেত্রে মহিলাদের অগ্রাধিকার নেই আজও। দল নির্বিশেষে এমনটাই দাবি তুললেন মহিলা সাংসদরা।
নয়া দিল্লি: নারীদের জন্য একটাই বরাদ্দ থাকা উচিৎ নাকি প্রত্যেকটা দিনই তাঁদের হওয়া উচিৎ? এ সব বিতর্ক সরিয়ে রেখেই ৮ মার্চ, সোমবার দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস (International Women’s Day)। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরাও তাতে সামিল। এখনও রাজনীতিতে নারীদের জায়গা অপেক্ষাকৃত কম, তথ্য তুলে ধরে এমনটাই রাজ্যসভাতেও দলমত নির্বিশেষে এমনটাই দাবি করলেন মহিলা সাংসদরা। তার মধ্যেও অবশ্য় বাদ যায়নি রাজনৈতিক কটাক্ষ।
আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উপলক্ষে সংসদে মহিলা সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মহিলা সংরক্ষণ বিল পাস করার দাবি তোলা হয় রাজ্যসভায়। রাজ্যসভায় মহিলা সাংসদরা একযোগে এই মহিলা সংরক্ষন বিল পাস করার দাবি জানায়। সংসদ সদস্যরা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের বৃহত্তর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার উপরও জোর দিয়েছিলেন এ দিন।
বিজেপি সাংসদ সরোজ পান্ডে এ দিন বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রচেষ্টায় একাধিক ক্ষেত্রে পুরুষ ও মহিলাদের অনুপাত আগের থেকে উন্নত হয়েছে। আর এক বিজেপি সাংসদ সোনাল মানসিং এ দিন একেবারে অন্যরকম এক দাবি জানান। তিনি মহিলা দিবসের আদলে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস পালনের পরামর্শ দিয়েছেন এ দিন। তবে জনসংখ্যায় নারীর পুরুষের প্রায় অর্ধেক হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা যে অধিকার থেকে বঞ্চিত সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী সংসদ ও বিধানসভায় মহিলাদের আসন সংরক্ষণের সংখ্যা বৃদ্ধি করার দাবিও জানান। ২৪ বছর আগে ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের বিষয়টা অনুমোদন পেয়েছিল। এবার সেটাই বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার দাবি জানান তিনি। প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী আরও বলেন, কোভিড মহামারী এবং লকডাউনের কারণে নারীদের উপর সর্বাধিক চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ইত্যাদির পাশাপাশি ঘরোয়া কাজের ক্ষেত্রেও মহিলাদের ওপর চাপ বেড়েছে অনেকটাই।
অন্যদিকে মহিলাদের গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ ছায়া ভার্মা। তিনি বলেন, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’য়ের মতো স্লোগান সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় নারীদের উপর অত্যাচারের ঘটনা অন্য গল্প বলে থাকে।
আরও পড়ুন: নারী দিবসে নমোর অনলাইন শপিং- অসমের গামছা, তামিলনাড়ুর শাল আর বাংলার পাটের ফাইল ফোল্ডার
এনসিপি সাংসদ ফৌজিয়া খান উল্লেখ করেন, রেডক্রস হোক বা প্লেগ মহামারী হোক না কেন, সেবামূলক কাজের ক্ষেত্রে নারীরা সর্বদা এগিয়ে ছিল। তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। তাঁর দাবি, দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় মহিলাদের অনেক ক্ষেত্রেই কাজের স্বাধীনতা নেই।