Ayodhya Ram Mandir: গেরুয়া পরা নিষেধ অযোধ্যার রাম মন্দিরের পুরোহিতদের! নিষিদ্ধ স্মার্টফোনও

Ayodhya Ram Mandir: আর গেরুয়া বস্ত্র পরতে পারবেন না অযোধ্যার রাম মন্দিরের পুরোহিতরা। তাঁদের জন্য এক নতুন পোশাক বিধি জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও এক কড়া নিয়ম জারি করা হয়েছে পুরোহিতদের জন্য। এখন থেকে রাম মন্দিরের পুরোহিতরা আর গর্ভগৃহে স্মার্টফোন নিয়ে যেতে পারবেন না।

Ayodhya Ram Mandir: গেরুয়া পরা নিষেধ অযোধ্যার রাম মন্দিরের পুরোহিতদের! নিষিদ্ধ স্মার্টফোনও
রাম মন্দিরের পুরোহিতদের গেরুয়া পরা নিষেধ (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি)Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jul 03, 2024 | 10:48 PM

অযোধ্যা: আর গেরুয়া বস্ত্র পরতে পারবেন না অযোধ্যার রাম মন্দিরের পুরোহিতরা। তাঁদের জন্য এক নতুন পোশাক বিধি জারি করা হয়েছে। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট জানিয়েছে, এই পোশাক বিধি অনুযায়ী, কোড রাম মন্দিরের পুরোহিতদের উজ্জ্বল হলুদ রঙের সাফা (মাথায় বাঁধার কাপড়), চৌবন্দি ((ফুল-হাতা কুর্তা) এবং ধুতি পরতে হবে। সেই সঙ্গে আরও এক কড়া নিয়ম জারি করা হয়েছে পুরোহিতদের জন্য। এখন থেকে রাম মন্দিরের পুরোহিতরা আর গর্ভগৃহে স্মার্টফোন নিয়ে যেতে পারবেন না। কিন্তু, কেন হঠাৎ রাম মন্দির উদ্বোধনের সাত মাস পর পুরোহিতদের জন্য জারি করা হল পোশাক বিধি? সূত্রের খবর, রাম মন্দিরের পুরোহিতদের মধ্যে যাতে অভিন্নতা বজায় থাকে এবং মন্দির চত্বরে উপস্থিত অন্যান্যদের থেকে তাদের আলাদাভাবে চেনা যায়, তার জন্যই এই নয়া সিদ্ধান্ত।

রাম মন্দিরের সহকারী পুরোহিত, সন্তোষ কুমার তিওয়ারি জানিয়েছেন, প্রধান পুরোহিত, চার সহকারী পুরোহিত এবং ২০ জন শিক্ষানবিশ পুরোহিত-সহ রাম মন্দিরের সকল পুরোহিতদেরই এখন থেকে মাথার বাঁধতে হবে হলুদ রঙের সাফা, পরতে হবে হলুদ রঙের চৌবন্দি এবং ধুতি। এর আগে, মন্দিরের অধিকাংশ পুরোহিতই গেরুয়া রঙের পোশাক পরতেন। সন্তোষ কুমার তিওয়ারি বলেন, “কয়েকজন পুরোহিত এর আগেও হলুদ পোশাক পরে আসতেন, তবে এটা বাধ্যতামূলক ছিল না।” তাঁর মতে, সনাতন ধর্ম অনুসারে পুরোহিতদের এমন পোশাক পরা উচিত, যা, প্রথমে মাথা গলাতে হয় এবং তারপর হাত গলাতে হয়। এই রীতি মেনেই নতুন পোশাক বিধি জারি করা হয়েছে।

একই সঙ্গে গর্ভগৃহে পুরোহিতদের আর মোবাইল ফোন নিয়ে যেতে দেওয়া হবে না। নিরাপত্তাজনিত কারণেই এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে রাম মন্দির ট্রাস্ট। তবে সূত্রের খবর, রাম মন্দিরের বিভিন্ন কথা গোপন রাখতেই এই পথে হাঁটল ট্রাস্ট। সম্প্রতি, রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত অভিযোগ করেছিলেন, একটু বৃষ্টি পড়তেই রাম মন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদ ফুটো হয়ে জল পড়ছে। ভারী বৃষ্টির পর মন্দিরের ছাদ চুইয়ে জল পড়ার বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে রাম মন্দির ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই, রাম মন্দিরের ছাদ থেকে জল পড়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, “মোদ্দা কথা হল যে গর্ভগৃহে ভগবান রামলালা বসে আছেন, সেখানে ছাদ থেকে এক ফোঁটা জলও পড়েনি বা কোথাও থেকে গর্ভগৃহে জল প্রবেশ করেনি।” এই ধরনের কোনও ছবি বা ভিডিয়ো যাতে আর বাইরে না আসে, তার জন্যই পুরোহিতদের গর্ভগৃহে স্মার্টফোন নিয়ে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।